#নয়াদিল্লি: নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষক আন্দোলনের আজ নবম দিন। কার্যত অবরুদ্ধ দিল্লি থেকে এই আন্দোলন সরানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হল।
সপ্তাহখানেকের বেশি সময় পার হয়ে গেলেও দিল্লিতে অবস্থানরত কৃষকেরা তাদের জায়গা থেকে সরতে নারাজ। কেন্দ্রীয় সরকারে সঙ্গে বহু দফা আলোচনায় কোনও সমাধান মেলেনি। কৃষকরা এখনও কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে অনড়। নভেম্বরের শেষে রাজধানী দিল্লিতে আন্দোলন টেনে আনেন সেখানে যোগ দেন উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখন্ড-সহ আরও অন্যান্য রাজ্যের কৃষকেরা। আন্দোলনের জেরে বাধ্য হয়ে পুলিশকে বন্ধ করে দিতে হয় একাধিক পথ। গাড়ির চলাচলও ধীর গতিতে হয়। সেই প্রেক্ষিতকে সামনে রেখেই এ বার সুপ্রিম কোর্টে কৃষক অপসারণের আর্জি করা হল।
দিল্লি হরিয়ানার সীমান্ত থেকে কৃষকদের অপসারণের জন্য সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন ঋষভ শর্মা নামক এক ব্যক্তি। ঋষভ শর্মা সংবাদমাধ্যমকে জানান, কৃষকদের আন্দোলনের জন্য দিল্লিতে স্বাস্থ্য পরিষেবায় ব্যাঘাত ঘটছে। সীমান্তে একটা বিপুল সংখ্যক কৃষকের ভিড় করার দরুণ করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টিকে উড়িয়ে দেওয়া যায় না কোনও মতেই। ফলে দিল্লি এবং এনসিআর-এ গোষ্ঠী সংক্রমণেরও ভয় থাকছে। তাঁর মতে, বিক্ষোভের জন্য অবশ্যই নির্বাচিত জায়গা থাকবে। তবে কার্যক্ষেত্রে, পুলিশ ২৬ নভেম্বর বুরারিতে একটি জায়গায় বিক্ষোভ করার অনুমতি দিলেও কৃষকেরা সেটি প্রত্যাখান করেন।
ঋষভের যুক্তি, কিছু দিন আগে দিল্লিতে করোনা মোকাবিলায় সরকারি পরিষেবা দিতে সমস্যা হয়েছিল। এমন অবস্থায় সাধারণ মানুষের প্রাণের ঝুঁকি উপেক্ষা করা চলে না। তা ছাড়াও কৃষকদের জীবন যাতে কখনই বিপন্ন না হয় সেই দিকেও নজর রেখে তাঁদের এখনই সীমান্ত থেকে সরানো উচিত।
সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা আবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, বহু মানুষ সরকারি চিকিৎসার জন্য দিল্লিতে আসেন। কিন্তু সীমান্ত গুলি যদি বন্ধ থাকে তাহলে অনেকেই বিপদে পড়বেন। আবেদনকারী তাই সুপ্রিম কোর্টের কাছে আর্জি জানান, সীমান্ত খুলে দেওয়ার জন্য। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যাতে বিক্ষোভ চালানো হয় সেদিকেও কর্তৃপক্ষকে নজর দিতে অনুরোধ করেছেন তিনি।
Somosree Das