#নয়াদিল্লি: দুটি ট্যুইটের কারণে দায়ের হওয়া আদালত অবমাননা মামলায় ১৩৪ পাতার অ্যাফিডেভিটে বিশিষ্ট আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ শুধুমাত্র একটি বিষয়েই 'দুঃখিত' বললেন৷ সেটি হল তাঁর দেশের প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে একটি ট্যুইট৷
গত মাসে দেশের প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদের হার্লে ডেভিডসন বাইকে চড়ার ছবি নিয়ে বিশিষ্ট আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ ট্যুইট করেছিলেন, 'এমন একটা সঙ্কটের সময়ে প্রধান বিচারপতি মাস্ক ও হেলমেট না পরে বাইকে চড়ছেন৷ অন্যদিকে লকডাউনে নাগরিকরা বিচার পাচ্ছেন না৷'
মঙ্গলবার আদালতে মামলার শুনানিতে প্রশান্ত ভূষণ জানান, তিনি খেয়াল করেননি বাইকটি স্ট্যান্ড করা আছে৷ এছাড়া আগের ৪ প্রাক্তন প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে কড়া ট্যুইটের জেরে তাঁর বিরুদ্ধে যে আদালত অবমাননার মামলা হয়েছিল, সেই মামলায় দুঃখ প্রকাশ তো দূর, ক্ষমাও চাইলেন না প্রশান্ত ভূষণ৷
প্রশান্ত ভূষণ এ দিন সুপ্রিম কোর্টে অ্যাফইডেভিটে জানান, 'আমি সত্যিই লক্ষ্য করিনি, প্রধান বিচারপতি যে বাইকটিতে চড়েছিলেন, সেটি স্ট্যান্ড করা আছে৷ তাই হেলমেট পরার প্রয়োজন নেই৷ আমি ওই ট্যুইটটির জন্য ক্ষমা চাইছি৷ তবে আরেকটি যে ট্যুইট করেছি, তা সমর্থন করছি৷'
সাহারা-বিড়লা ডেয়ারি কেস থেকে শুরু করে বিচারপতি লোয়ার মৃত্যু, কোহিকো পুল আত্মহত্যা মামলা, মেডিক্যাল অ্যাডমিশন স্ক্যাম, অসম এনআরসি, সিএএ-সহ একাধিক মামলার প্রসঙ্গ তুলে প্রশান্ত ভূষণ সরাসরি বিচার ব্যবস্থার ফেলিওর আখ্যা দেন৷
প্রশান্ত ভূষণ একটি ট্যুইটে লেখেন, 'ভবিষ্যতে ইতিহাসবিদরা যখন বর্তমানের ৬ বছরের সময়সীমার দিকে তাকাবেন, তখন দেখবেন, ঘোষিত জরুরি অবস্থা না হলেও কী ভাবে দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে৷ সুপ্রিম কোর্ট ও ৪ প্রধান বিচারপতির ভূমিকাও চিহ্নিত করতে পারবেন ইতিহাসবিদরা৷'
এরপরেই আদালত অবমাননার অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টে নোটিস পান প্রশান্ত ভূষণ৷ এই মামলার শুনানি চলছে বিচারপতি অরুণ মিশ্র, বিচারপতি বিআর গবাই ও বিচারপতি কৃষ্ণা মুরারির বেঞ্চে৷ মামলার পরবর্তী শুনানি ৫ অগাস্ট৷