#নয়াদিল্লিঃ উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh)-বিহার (Bihar) থেকে গঙ্গা (Ganga) এবং যমুনায় (Yamuna) ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে শয়ে শয়ে করোনা আক্রান্তের (Crona Positive) মৃতদেহ (Covid Dead Bodies in Ganga)। সেই দেহ জলে পচে-গলে মিশে যাচ্ছে। কখনও আবার মৃতদেহ নদীর চরায় পুঁতে দেওয়া হচ্ছে গেরুয়া কাপড়ে মুড়িয়ে। সম্প্রতি এমন একাধিক ঘটনা সামনে আসায় আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন জায়গা থেকে দেহ তুলে সৎকারের ব্যবস্থা করা হলেও, তা ঠেকানো এখনও পর্যন্ত সম্ভব হয়নি।
এ দিকে, দেহগুলি ভাসতে ভাসতে আচিরেই বাংলায় প্রবেশ করতে পারে, যা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।ইতিমধ্যেই মালদহ প্রশাসনকে সতর্ক করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। তবে জলে মৃতদেহ ভাসুক বা জল থেকে তুলে ফেলে হোক...সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কায় আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। যদিও জলে দেহ ভাসলেও, তা থেকে করোনা সংক্রমণ (Coronavirus) ছড়ানোর কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ প্রসঙ্গে আইসিএমআর (ICMR)-র চেয়ারম্যান বলরাম ভার্গব জানান, "ভাইরাসের বেঁচে থাকার জন্য জীবিত থাকা প্রয়োজন। মৃতের শরীরে ভাইরাস সক্রিয় থাকতে পারে না। ফলে সংক্রমণ ছড়াবে, এমন আতঙ্কের কারণ নেই। বরং সতর্ক থাকা উচিত দূষণের থেকে।" এ দিকে আইআইটি কানপুরের (IIT Kanpur) অধ্যাপক সতীশ তারে বলেন, "সংক্রমণ না ছড়ালেও গঙ্গা যমুনায় এ ভাবে নির্দ্বিধায় মৃতদেহ ভাসানো খুবই সাঙ্ঘাতিক। দেশ যখন এত কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তখন এর থেকে অন্য নানা ধরণের রোগ ছড়াতে পারে।"
গঙ্গা, যমুনা বা তার উপনদী এবং শাখানদীর তীরবর্তী গ্রাম এবং ছোট শহরগুলির অন্যতম পানীয় জলের উৎস এই নদীর জল। অধ্যাপক তারের কথায়, জলে ফেলে দেওয়া দেহ থেকে সংক্রমণের সম্ভাবনা নেই। কিন্তু তা থেকে দূষণ ছড়ায় ব্যাপক হারে। যদিও নদীতে দেহ ভাসিয়ে দেওয়ার ঘটনা নতুন নয় বলেও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, "গঙ্গা, যমুনায় মৃতদেহ ভাসিয়ে দেওয়ার প্রচলন বহু পুরনো। কিন্তু গত ১০-১৫ বছর ধরে তা ধীরে ধীরে কমছে। তবে নিঃসন্দেহে এর ফলে দূষণ ছড়ায়।"
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, Ganga