#নয়াদিল্লি: করোনা থেকে মুক্তির আলো ৷ ভ্যাকসিনের জন্য অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে আর কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ৷ ভারতেও নতুন বছরের শুরু দিকেই মিলবে করোনা প্রতিষেধক ৷ এমন আশার কথা শোনালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷
শুক্রবার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বসা সর্বদলীয় বৈঠকে করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে এই কথাই বলেন প্রধানমন্ত্রী ৷ ভার্চুয়াল এই বৈঠকে মোদি জানান, ‘বিজ্ঞানীদের ছাড়পত্র পেলেই টিকাকরণ শুরু হয়ে যাবে ৷ দেশে এই মুহূর্তে আটটি ভ্যাকসিন তৈরি হচ্ছে ৷ প্রতিষেধক দেওয়ায় অগ্রাধিকার পাবেন রোগী, স্বাস্থ্যকর্মীরা ৷ প্রথমে দেওয়া হবে করোনা যোদ্ধাদের ৷ এরপরই ভ্যাকসিনে অগ্রাধিকারের তালিকায় থাকবেন দেশের প্রবীণরা ৷এনিয়ে টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে কেন্দ্র ৷’
একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জানান, ভ্যাকসিন বণ্টনে বিশেষ সফটওয়্যার ব্যবহার করবে কেন্দ্র ৷ ভ্যাকসিনের দাম নিয়ে রাজ্যগুলির সঙ্গে কথা বলবে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ প্রতিষেধকের দাম নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য একযোগে সিদ্ধান্ত নেবে ৷ এবিষয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গেও কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী বলে জানিয়েছেন ৷ ভ্যাকসিন বিতরণের প্রক্রিয়া নিয়ে পরিকল্পনা ও কাজের জন্য তৈরি ন্যাশনাল এক্সপার্ট টিমের উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী ৷ তাদের সুপারিশ অনুযায়ীই হবে কাজ ৷
ভ্যাকসিন নিয়ে গুজবেও চিন্তিত মোদি ৷ বলেন, ‘টিকাকরণের সময় অনেক গুজব রটে ৷ টিকাকরণের সময় গুজবে কান দেবেন না ৷ মানুষকে গুজব থেকে বাঁচাতে পারে রাজনৈতিক দলই ৷ রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে পরামর্শ চাইছি ৷’
প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘ভ্যাকসিন নিয়ে গোটা বিশ্বের নজর রয়েছে ভারতের উপর ৷ এই মুহূর্তে দেশে ৮টি প্রতিষেধকের উপর দ্রুতগতিতে কাজ চলছে ৷ এর মধ্যে এগিয়ে রয়েছে তিনটি প্রতিষেধক ৷ ’ সোমবার এই প্রতিষেধকগুলির উপর কিরকম কাজ চলছে তা সশরীরে খতিয়ে দেখতে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ সেকথাও তিনি এদিন জানান ৷ আমেদাবাদের জাইডাস ক্যাডিলার ল্যাবে ভ্যাকসিনের কাজ কর্ম খতিয়ে দেখে প্রধানমন্ত্রী গিয়েছিলেন কোভ্যাক্সিন ভ্যাকসিনের কাজ দেখতে হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেকের দফতরে ৷ শেষে যান পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট ৷ এদেশে অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে মিলে এদেশে অক্সফোর্ডের গবেষণা দলের আবিষ্কৃত ভ্যাকসিন তৈরি করছে সিরাম ইনস্টিটিউট ৷ উল্লেখ্য, হায়দরাবাদে ভারত বায়োটেকের দফতরে তৈরি কোভ্যাক্সিনেরই তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে অংশ নিয়েছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ৷ ২ ডিসেম্বর ভ্যাকসিন নেন তিনি ৷
টিকাকরণের জন্য যাবতীয় ব্যবস্থাপনা প্রায় প্রস্তুত, বিজ্ঞানীদের সবুজসংকেত পেলেই কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয়ে শুরু হবে বিলি-বন্টন, দেশবাসীকে জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি।