কল্লাকুরিচি জেলার বাসিন্দা ভেলাভান এবং তাঁর স্ত্রী ৩৮ বছরের ভারতীর তিন সন্তানকে নিয়ে সুখের সংসার ছিল৷ কিন্তু বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো হঠাৎই কিডনির অসুখে আক্রান্ত হয় ভেলাভান এবং ভারতীর বড় ছেলে৷ একদিকে সন্তানকে হারানোর শোক, অন্যদিকে তার ব্যয়বহুল চিকিৎসার খরচ জোগাতে গিয়ে বিপুল ঋণের বোঝা চাপে ওই দম্পতির ঘাড়ে৷ এই ঋণ শোধ করতেই গত মার্চ মাসে ৯ মাসের ছোট ছেলে দেবেশকে নিয়ে দুবাইতে কাজ করতে চলে যান ভারতী৷ গত ২৯ মে সেখানেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর৷ সেখানেই সমাহিত করা হয় তাঁকে৷ বিদেশে সম্পূর্ণ একা হয়ে পড়ে ১১ মাসের দেবেশ৷
তবে একটাই ভাল বিষয়, ভারতীর বন্ধুরাই ছোট্ট শিশুটির দেখাশোনার ভার নেন৷ দুবাইতে বসবাসকারী তামিলনাড়ুর ক্ষমতাসীন দল ডিএমকে এক সংগঠক মহম্মদ মিরানকে এর পর শিশুটির বিষয়ে জানানো হয়৷ তিনিই বিষয়টি তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনের নজরে আনেন৷ এর পরই তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে শিশুটিকে যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়৷
সতীশ কুমার নামে এক দুবাই থেকে ত্রিচিগামী ইন্ডিগো-র বিমানের এক যাত্রীর সঙ্গেই ১১ মাসের ওই শিশুটিকে ভারতে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ শিশুটির সঙ্গেই তার মায়ের অস্থিও পাঠানো হয়৷ সতীশ কুমার নামে ওই যাত্রী শিশুটিকে ত্রিচিতে নিয়ে এসে বিমানবন্দরে তার বাবা ভেলাভানের হাতে তুলে দেন৷ ভেলাভান জানিয়েছেন, কাল্লাকুরিচির সাংসদ তাঁর সন্তানের পড়াশোনার ভার নেবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন৷ পাশাপাশি আর্থিক সহযোগিতা করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, Dubai, Tamil Nadu