#নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ছাড়পত্র দেওয়ার পর লোকসভায় পাশ হয়ে গেল নির্বাচন (সংশোধনী) বিল, ২০২১ (Election Law Amendment Bill)। সোমবার লোকসভায় (Lok Sabha) বিলটি পেশ হয়েছে। বিলটি পেশ করেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরণ রিজিজু।
কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী, তৃণমূলের সৌগত রায় এবং আরএসপি-র এন কে প্রেমচন্দ্রন-সহ বিরোধীরা বিল পেশের তীব্র বিরোধিতা করেন। তবে, আপত্তি সত্ত্বেও হইচইয়ের মধ্যে বিলটি পেশ হয়। ব্যক্তিগত পরিসরে হস্তক্ষেপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় বিরোধিতা করেছেন বিরোধীরা। এ দিন লোকসভায় বিলটি পাস হওয়ার পর তা পাঠানো হবে রাজ্যসভায়।
আরও পড়ুন: সপ্তাহে ৪ দিন কাজ, ৩ দিন ছুটি! নতুন শ্রম আইনে সবুজ সংকেত ১৩ রাজ্যের...
এই বিলে তৃণমূলের অবস্থান কী হবে? দলের রাজ্যসভার মুখ্য সচেতক সুখেন্দু শেখর রায় নিউজ এইট্টিন বাংলাকে জানালেন, "আমরা(তৃণমূল) শুরু থেকেই এই বিলের বিরোধী। তার কারণ আধার কার্ডের সঙ্গে ভোটার কার্ডের সংযুক্তিকরণ সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপন্থী। তাছাড়া এতে ভোটার তালিকা ম্যানুপুলেট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমন কী, পেগাসাসের মতো কোনও ষড়যন্ত্রও করা হতে পারে।"
আধার-ভোটার সংযুক্তিকরণ ছাড়াও আরও একাধিক সংস্কার নির্বাচন প্রক্রিয়ায় আনা হতে পারে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্তকরণের সময় বৃদ্ধি। পয়লা জানুয়ারি থেকে বছরে ৪বার করে ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্ত করা যাবে।
আরও পড়ুন: ভাষণে নেই ইন্দিরা গান্ধির উল্লেখ, স্পিকারকে চিঠি দিলেন অধীর চৌধুরী
প্রসঙ্গত, বছর সাতেক আগে ২০১৪ সালে ভোটারদের কাছ থেকে আধার কার্ড সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল। তথ্য সংগ্রহ করেছিল নির্বাচন কমিশন। এই ভাবে দেশের প্রায় ৪০ কোটি ভোটারের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করেছিল কমিশন। এর পর মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে।
শীর্ষ আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতেই ‘ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার’ রক্ষার্থে ভোটার কার্ড ও আধার কার্ডের সংযুক্তিকরণ প্রক্রিয়া আর এগোয়নি। এখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার ছাড়পত্রের পর নতুন করে সংযুক্তিকরণ প্রক্রিয়া শুরু হওয়া নিয়ে আলোচনা চলছে। মনে করা হচ্ছে, ভোটার-আধার সংযুক্তিকরণ হলে ভুয়ো ভোটার চিহ্নিত করতে সুবিধা হবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।