নয়াদিল্লি: যা ভাবা হয়েছিল, তাই হল। এবার ইডির নজর অনুব্রত মণ্ডল কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের দিকে। আজ সুকন্যা মণ্ডলকে ফোন করেন তদন্তকারীরা। এ ছাড়াও চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট মনীশ কোঠারি এবং অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী মলয় পিট ও রাজীব ভট্টাচার্যকেও ফোন করেন ইডি আধিকারিকরা। চারজনকেই আগামী সপ্তাহে দিল্লি আসার প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে দিল্লিতে অনুব্রত মণ্ডলের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে তাঁদের।
আজ দুপুরে অনুব্রত মণ্ডলকে দু-ঘণ্টা জেরা করেছেন ইডি আধিকারিকরা। গরু পাচারে পুলিশ অফিসারদের ভূমিকা কী ছিল, জানতে চাওয়া হয়েছে। যদিও অনুব্রত জবাব এড়িয়ে গিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। টানা ম্যারাথন জেরায় অনুব্রত মণ্ডল অসহযোগিতা করছেন বলে দাবি ইডির।
অনুব্রতকে জেরা করতে গিয়ে নানাবিধ ঝক্কি পোহাতে হচ্ছে ইডি কর্তাদের। নিজের বয়ান অনুব্রত নিজে লিখতে পারবেন না, তাই একজন আলাদা অফিসার রয়েছেন। যিনি অনুব্রতর বয়ান লিখে দেন। এমন কি, গোটা প্রক্রিযার ভিডিওগ্রাফি করা হচ্ছএ। ইডি অনুব্রতকে জেরা করে জানতে চায়, অনুব্রতর অ্যাকাউন্ট থেকে মলয় পিঠের এনজিওতে ৯ কোটি টাকা কেন দেওয়া হয়েছিল?
আরও পড়ুন: হঠাৎ ইডি-র কাছে অনুব্রতর আবদার! এমন জিনিস চাইলেন, শুনে আকাশ থেকে পড়লেন অফিসাররা
মলয় পিঠের স্বাধীন ট্রাস্ট ও সতীর্থ ট্রাস্টে বিনিয়োগ করেছিলেন কেষ্ট। অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ও অনুব্রত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৯ কোটি টাকা মলয়ের ট্রাস্টে গিয়েছিল কেন? ২০১৪ সালে নভেম্বর ভোলে ব্যোম রাইস মিলে ৬ দিনে সাড়ে ৬ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়। যে রাইস মিল অনুব্রতর স্ত্রী ও কন্যা নামে রয়েছে। ইডির প্রশ্ন, ৬ দিনে সাড়ে ৬ কোটি টাকা কোথা থেকে পেলেন অনুব্রত? ১০ নভেম্বর ২০১৪ সাল থেকে ১৮ নভেম্বর ২০১৪ পর্যন্ত ৬ দিনে সাড়ে ৬ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিল রাইস মিলে।
একাধিক বিষয়ে অনুব্রতকে আরও প্রশ্ন করছে ইডি। ২০১৫-২০১৮ সালের মধ্যে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি বৃদ্ধি অনুব্রতর কীভাবে হল? রাইস মিল, জমি, বাড়ি, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফিক্সড ডিপোজিট কোটি কোটি টাকা কোথা থেকে এল? ব্যাঙ্কের ১৮ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট উৎস কী? প্রাক্তন ব্যাঙ্ক কর্মীকে কেন ৬ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল? গরু পাচারের প্রোটেকশন মানিতেই কি বিপুল সম্পত্তি? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে ইডি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Anubrata Mondal, ED, Sukanya Mondal