#নয়াদিল্লি: ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে দিল্লি মেট্রোর "ম্যাজেন্টা লাইন" তে দেশের প্রথম চালকহীন মেট্রো ট্রেন পরিষেবা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এছাড়াও, তিনি বিমানবন্দর এক্সপ্রেস লাইনে "ন্যাশনল কমন মোবিলিটি কার্ড" (এনসিএমসি)-এর পরিষেবা চালু করবেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে সোমবার সকাল ১১ টায় এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।
পিএমও থেকে বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে ড্রাইভারহীন ট্রেন পুরোপুরি স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালিত হবে, যা একেবারেই সুরক্ষিত থাকবে। দিল্লি মেট্রোর ম্যাজেন্টা লাইনে (জনকপুরী পশ্চিম-বোটানিক্যাল গার্ডেন) চালকবিহীন ট্রেন পরিষেবা শুরুর পরে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে পিঙ্ক লাইনে (মজলিস পার্ক-শিববিহার) চালকবিহীন ট্রেন পরিষেবা শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ম্যাজেন্টা লাইনে জনকপুরী-বোটানিকাল গর্ডন করিডোরটিতে এই পরিষেবা চালু হওয়ার সাথে সাথে ৩৭ কিমি ব্যাসার্ধের মধ্যে দিল্লি-এনসিআরের যাত্রীরা তাদের সুবিধার্থে অত্যাধুনিক পরিষেবা ব্যবহার করতে পারবেন।
এনসিএমসি পুরোপুরি বিমানবন্দর এক্সপ্রেস লাইনে পরিচালিত হবে। এছাড়াও, দেশের যে কোনও অঞ্চল থেকে ইস্যু করা রুপে-ডেবিট কার্ড থাকা যে কোনও ব্যক্তি এটি ব্যবহার করে রুটে যাতায়াত করতে পারবেন। পিএমও জানিয়েছে যে ২০২২ সালের মধ্যে দিল্লি মেট্রোর পুরো নেটওয়ার্কে এই সুবিধাটি পাওয়া যাবে।
দিল্লির মেট্রো রেল কর্পোরেশন (DMRC) এই নতুন প্রযুক্তি শুরু করার সঙ্গে সঙ্গেই ডিএমআরসির নাম বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় মেট্রো পরিষেবাগুলির মধ্যে চলে আসতে পারে। ২০২২ জুনের মধ্যে পিঙ্ক লাইন (মজলিস পার্ক-শিব বিহার) ৫৭ কিলোমিটার ব্যাসার্ধে চালকবিহীন মেট্রো শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে। পরের বছর পর্যন্ত, মেট্রো দিয়ে যাতায়াতকারীরা ৯৯ কিমি ব্যাসার্ধের মধ্যে চালকবিহীন মেট্রোতে ভ্রমণের সুযোগ পাবেন। এটি পুরো বিশ্বে চালকবিহীন মেট্রো নেটওয়ার্কের প্রায় ৯ শতাংশ হবে।
২০২২ এর মধ্যে, যাত্রীরা সমস্ত মেট্রো লাইনে কমন মবেলিটি কার্ডের সঙ্গে ভ্রমণের সুযোগ পাবেন। ডিএমআরসি বর্তমানে ৩৯০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে ১১ টি করিডোরের (নোইডা-গ্রেটার নোইডা) ২৮৫ টি স্টেশনের মধ্যে যাত্রীদের মেট্রো সুবিধা সরবরাহ করছে।নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।