#হেডিংলে:থামলেন ইউনিভার্স বস। শেষ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আফগানিস্তানকে হারানোর পরেই ক্রিস গেইলের বিশ্বকাপ কেরিয়ারে ইতি। পাঁচ বিশ্বকাপ খেলা গেইলের শেষ ম্যাচের পারফরমেন্স মনে থাকার মত নয়। তবে তিনি এমনই চরিত্র, থেকে যাবেন প্রত্যেক ক্রিকেট সমর্থকের মনে।
ব্যাট হাতে সাত রান। পরে বল হাতে একটা উইকেট। ফিল্ডিংয়ে একটা ক্যাচ। বিশ্বকাপে নিজের শেষ ম্যাচে এটাই গেইলের রিপোর্ট কার্ড। সুযোগ ছিল ব্রায়ান লারাকে টপকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সর্বোচ্চ রানের মালিক হওয়ার। সুযোগ ছিল লারাকে টপকে বিশ্বকাপে ক্যারিবিয়ান িহসেবে সর্বোচ্চ রানের নজিরেরও। কিন্ত দৌলত জারদানের বলে মাত্র সাত রানেই থামেই গেইলের শেষ বিশ্বকাপ ইনিংস। লারার থেকে উনচল্লিশ রান পিছনে থামেন। পাঁচ বিশ্বকাপ খেলা গেইলের ঝুলিতে পঁয়ত্রিশ ম্যাচে এগারোশো ছিয়াশি রান। উনচল্লিশটা ছয়। যা বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ। সর্বোচ্চ দুশো পনেরো। যা বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর৷
হেডিংলিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিল্ডিংয়ের সময় বিভিন্ন মুডে পাওয়া গেল ইউনিভার্স বসকে। কখনও উইকেট নিয়ে নিজেই অবাক। আবার কখনও রহমত শাহের ক্যাচ ধরে ব্রেথওয়েটের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ডন বৈঠক। ম্যাচ হতেই সোজা চলে গেলেন সমর্থকদের মধ্যে। সেলফি তুললেন। অটোগ্রাফ দিলেন। শেষ বিশ্বকাপ মুহূর্তটা উপভোগ করলেন চুটিয়ে। শেষ বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলার পর গেইলের প্রতিক্রিয়াকাপটা জিততে পারলে ভাল লাগল। তবে প্রত্যেকটা মুহূর্ত উপভোগ করেছি। জুনিয়রদের পাশে পেয়েছি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জার্সিতে ৫টা বিশ্বকাপ খেলে গর্বিত ৷
কাপ না ই বা জিতলেন। কিন্তু শেষ বিশ্বকাপটা উপভোগ করলেন চুটিয়ে। প্রত্যেকটা মুহূর্ত। গ্রেটরা বোধহয় এমনই হন।