ইনদওর : ঘুমন্ত শিশুকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত বাবা। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা মধ্যপ্রদেশের ইনদওরের। অভিযোগ, শিশুটির সৎ মায়ের চাপেই এই জঘন্য অপরাধ ঘটিয়েছে ওই ব্যক্তি৷ প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে শিশুর বিমাতার ক্রমাগত চাপেই বাধ্য হয়ে এই কাজ করেছে সে৷ নিহত শিশু প্রতীক সাধারণত তার ঠাকুরদা ঠাকুমার সঙ্গেই রাতে ঘুমোত৷ অভিযোগ, রবিবার তার বাবা তাকে তার ঘরে ঘুমোতে বলে৷ কারণ ওই ঘরে এয়ার কুলার ছিল৷ গরমের রাতে আরামে ঘুমোতে পারবে বলে খুবই আনন্দে ছিল তৃতীয় শ্রেণীর পড়ুয়া প্রতীক৷ সেই কথা সে জানিয়েওছিল ঠাকুরদা ঠাকুমাকে৷ পর দিন সকালে ওই প্রৌঢ় দম্পতি নাতিকে দেখতে পান নিথর অবস্থায়৷
পুলিশের অনুমান, খুদে প্রতীক ঘুমিয়ে পড়ার পর তার বাবা শশীপাল মুণ্ডে জোরে টিভি চালিয়ে দেয়৷ তার পর শ্বাসরোধ করে খুন করে ছেলেকে৷ অভিযোগ, ছেলেকে খুন করার পর তার প্রমাণ হিসেবে ভিডিও পাঠানোর চেষ্টা করেছিল তৃতীয় পক্ষের স্ত্রী পায়েলকে৷ কিন্তু শশীপালের নাম্বার ব্লক করে দেওয়ায় সেই ভিডিও পায়েলের কাছে পৌঁছয়নি৷ এর পর ২৬ বছর বয়সি শশীপাল বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়৷ অভিযুক্ত শশীপাল এবং তার তৃতীয় পক্ষের স্ত্রী ২৩ বছরের পায়েলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷
তদন্তের ঘটনাপ্রবাহে পুলিশ জানতে পেরেছে যে বাবার তৃতীয় পক্ষের স্ত্রী অর্থাৎ বিমাতা পায়েলের সঙ্গে প্রতীকের সম্পর্ক মোটেও ভাল ছিল না৷ দু’জনের কেউ কাউকে সহ্য করতে পারত না৷ শশীপাল জানিয়েছে ‘‘ খুনের পর আমি পায়েলকে ভিডিও এবং মেসেজ পাঠাই এই বলে যে আমার ছেলে আর তাকে বিরক্ত করবে না৷ কারণ আমি তাকে মেরে ফেলেছি৷’’
সম্প্রতি পায়েলেরও একটি পুত্রসন্তান হয়েছে৷ সদ্যোজাতকে নিয়ে সে তার বাবা মায়ের কাছে আছে৷ অভিযোগ স্বামীকে সে বলেছিল প্রতীক থাকলে নবজাতককে নিয়ে সে বাড়িতে ফিরবে না৷ শশীপালের আগের পক্ষের সন্তান প্রতীককে সহ্য করতে পারত না পায়েল৷ জানিয়েছে পুলিশ৷ স্বামী প্রতীককে সে হমকি দিয়েছিল, হয় প্রতীককে অন্য কোথাও পাঠাতে হবে৷ নয়তো তাকে মেরে ফেলতে হবে৷
ছেলেকে হত্যা করার ভিডিও পাওয়া গিয়েছে প্রতীকের ফোন থেকে৷ যদিও এই ঘটনার কোনও দায় নিতে রাজি নয় পায়েল৷ তরুণীর দাবি, সে কোনওদিন স্বামীকে বলেনি তার সাত বছরের ছেলেকে মেরে ফেলতে৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।