মধ্যপ্রদেশ: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের (Corona Second Wave) বড়সড় জমায়েত করে বাংলা সহ একাধিক রাজ্যে ভোট পরিচালনা করে সমালোচনার মুখে পড়েছিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্টেও বারবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় তাঁদের। কিন্তু তাতেও শিক্ষা হয়নি। মধ্যপ্রদেশে শুধু একটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনেই চলে গিয়েছে ১৭ জন ভোটকর্মীর প্রাণ! করোনার কবলে পড়ে মৃত্যু হয়েছে বিজেপি, কংগ্রেসের একাধিক নেতা-নেত্রীর। প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রদেশের ধামোহা (Dhamoh) কেন্দ্রের উপনির্বাচনের আগে সেখানে করোনার তেমন কোনও বাড়বাড়ন্তই ছিল না, কিন্তু সেখানেই এখন মৃত্যুমিছিল!
প্রসঙ্গত, শুধু ভোটকর্মীরা নন, উপনির্বাচন হওয়ার পরপরই প্রাণ গিয়েছে কংগ্রেস নেতা ব্রজেন্দ্র সিং রাঠোর, মহিলা কংগ্রেস সভানেত্রী মাণ্ডবী চৌহান, কংগ্রেস সেবা দলের নেতা মার্তণ্ড সিংয়ের মতো নেতাদের। বহু নেতার বাড়িতেও করোনার কবলে প্রাণ হারিয়েছেন আত্মীয়রা। গত ১৭ এপ্রিল উপনির্বাচন হয় ধামোহা কেন্দ্রটিতে। ধামোহার কংগ্রেস (Congress) বিধায়ক রাহুল সিং জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় উপনির্বাচন হয় ওই কেন্দ্রে।
উপনির্বাচনের আগে পর্যন্ত ধামোহায় করোনা প্রভাব অনেকটাই কম ছিল। সেই কারণে অতিআত্মবিশ্বাসী হয়ে ওই কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তেমন কোনও বিধিনিষেধও দেওয়া হয়নি। তাই খোদ মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, কংগ্রেস নেতা কমল নাথ (Kamal Nath), দিগ্বিজয় সিংরা বহাল তবিয়তে প্রচার করে গিয়েছেন ধামোহায়। বর্তমানে ভয়াবহ অবস্থা নিয়েছে ওই বিধানসভা কেন্দ্র।
ধামোহার জেলা কালেক্টর কৃষ্ণ চৈতন্যও গোটা পরিস্থিতির কথা স্বীকার করে বলেছেন, 'ভোটের পরে এখনও পর্যন্ত ২৪ জন ভোটকর্মীর মৃত্যুর খবর এসেছে। তাঁদের পরিবার অভিযোগ করেছে, করোনা আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে ওই ভোটকর্মীদের। আমরা ইতিমধ্যেই ১৭ জনের নাম নথিভুক্ত করেছি।” স্বাভাবিক কারণেই প্রশ্ন উঠছে, উপনির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের এহেন ভূমিকা কতটা যৌক্তিক? মানুষের প্রাণের কি কোনও দাম নেই তাঁদের কাছে?
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।