হোম /খবর /দেশ /
করোনায় মৃতার জুটল না অ্যাম্বুল্যান্স, ঠেলাগাড়িতে মরা মা-কে শ্মশানে নিলেন ছেলে

করোনায় মৃত্যু, তাই মিলল না অ্যাম্বুল্যান্স, ঠেলাগাড়িতে করে মরা মা-কে শ্মশানে নিয়ে গেলেন ছেলে

গত বছরের মতো এবছরও ফিরছে করোনা আক্রান্তদের নিয়ে সমাজের অমানবিকতার ছবি

  • Last Updated :
  • Share this:

#গোরখপুর: আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরেছে মারণ ভাইরাস করোনা! করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ইতিমধ্যেই বেসামাল দেশের বিভিন্ন রাজ্য। প্রতিদিন আক্রান্তের নিরিখে রেকর্ড গড়ছে ভারত। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। গত বছরের মতো এবছরও ফিরছে করোনা আক্রান্তদের নিয়ে সমাজের অমানবিকতার ছবি। মৃত মাকে শেষ পর্যন্ত ঠেলাগাড়িতে করে শ্মশানে নিয়ে যেতে বাধ্য হল অসহায় ছেলে!

উত্তরপ্রদেশের গোরখপুর জেলার গোলাবাজার এলাকায় রবিবার মৃত্যু হয় এক করোনা আক্রান্ত মহিলার। গত ২ দিন ধরে তিনি বাড়িতেই আইসোলেশনে ছিলেন। হতবাক করা কাণ্ড, মৃত্যুর পর জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কেউ সেই বাড়িতে আসেননি! এমনকী পাড়া-পড়শিরা মৃতের পরিবারকে কার্যত একঘরে করে দেন। কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে না... মায়ের সৎকারের জন্য ছেলে বাড়ি-বাড়ি সাহায্য চাইতে গেলে সবাই মুখের উপর দরজা আটকিয়ে দেন! বহু কাকুতি মিনতি করে মেলেনা কোনও অ্যাম্বুল্যান্স! শেষ পর্যন্ত মায়ের দেহ নিজেই ঠেলাগাড়িতে করে শ্মশানে নিয়ে যান ছেলে।

অন্যদিকে, দেশে ভয়াবহ আকার নিয়েছে করোনা! ১৩ দিন পেরিয়ে আজও আড়াই লক্ষের বেশি সংক্রমিত দেশে। সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ২০ লক্ষ (Corona Cases in India)। করোনার প্রথম দফাতে সর্বাধিক সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ছিল দশ লক্ষ। কিন্তু দ্বিতীয় দফায় ( Corona Second Wave) এই পরিসংখ্যানই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মীদের।

গত চব্বিশ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছে ২ লক্ষ ৫৯ হাজার জন। গত চব্বিশ ঘণ্টায় করোনা প্রাণ নিয়েছে ১৭৬১ জনের। এই নিয়ে দেশে মোট মৃত্যু হল ১ লক্ষ ৮০ হাজার ৫৩০ জনের। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সবচেয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি মহারাষ্ট্রে।  শেষ চব্বিশ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে আক্রান্ত হয়েছে ৫৮ হাজর ৯২০ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩৫১ জনের। উত্তর প্রদেশেও নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২৮ হাজার ২১০ জন। দিল্লিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ২৩ হাজার ৬৯০। রাজধানীতে শেষ চব্বিশ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২৪০ জনের।

প্রসঙ্গত শেষ চব্বিশ ঘণ্টায় টিকাকরণ হয়েছে ৩২ লক্ষ ৭৭ হাজার জনের। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট টিকাকরণ হ‌য়েছে ১২ কোটি ৭১ লক্ষের। এর মধ্যে ১০ কোটি ৯৭ লক্ষ প্রথম ডোজের টিকা পেয়েছেন। দুইটি ডোজই পেয়েছেন এমন ব্যক্তির সংখ্যা ১ কোটি ৭৫ লক্ষ।

প্রথম দফার করোনাতে দেশ বহু ঝড়ঝাপটা দেখেছে। তবে দৈনিক সক্রিয় রোগীর এত বাড়বাড়ন্ত দেখা যায়নি। এই কারণেই পরিস্থিতি কার্যত বেনজির। ইতিমধ্যেই ভোটের প্রচার কাঁটছাঁট করছেন রাজনৈতিক নেতৃত্বরা। হাসপাতালগুলিতেও পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। বেশির ভাগ হাসপাতালেই বেড নেই। দিল্লি, পাঞ্জাব, রাজস্থান লকডাউন জারি করেছে। লকডাউন হয়েছে উত্তরপ্রদেশের পাঁচ রাজ্যেও।

Published by:Rukmini Mazumder
First published: