হোম /খবর /দেশ /
দেশে উড়ান পরিষেবা শুরু হলেও শ্বাস পরীক্ষা এখনও বন্ধ পাইলট ও বিমানকর্মীদের

দেশে উড়ান পরিষেবা শুরু হলেও ব্রেথ অ্যানালাইজার টেস্ট এখনও বন্ধ পাইলট ও বিমানকর্মীদের

File Photo

File Photo

কোনও ভাবে পাইলট বা ক্রুরা মাদক বা কোনও উত্তেজক ওষুধ খেয়েছেন কি না, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতেই ওই পরীক্ষা করা হয়।

  • Share this:

#কলকাতা: কোভিড সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে আপাতত অনির্দিষ্ট কালের জন্য শ্বাস পরীক্ষা বা ব্রেথ অ্যানালাইজার টেস্ট বন্ধ রাখল ডিজিসিএ। তবে এই সিদ্ধান্ত একেবারেই সাময়িক। কোভিড সংক্রমণের প্রভাব কমলেই আবার এই ব্যবস্থা চালু করা হবে বলে জানানো হয়েছে। লকডাউনে দু’মাস বন্ধ থাকার পর দেশে পুনরায় যাত্রীবাহী বিমান পরিষেবা শুরু হলেও এখনও পাইলট ও বিমানকর্মীদের জন্য এই শ্বাস পরীক্ষার নিয়ম বন্ধই রাখা হয়েছে ৷

উড়ানে যাওয়ার আগে সবসময়েই পাইলট, কেবিন ক্রু-দের ওই পরীক্ষা করা হত। কোনও ভাবে পাইলট বা ক্রুরা মাদক বা কোনও উত্তেজক ওষুধ খেয়েছেন কি না, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতেই ওই পরীক্ষা করা হয়। এবং কোনও ভাবে মদ্যপ বা উত্তেজক ওষুধ খাওয়া অবস্থায় উড়ানে যাওয়ার চেষ্টা করলে সংশ্লিষ্ট কর্মীর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ারও নিয়ম রয়েছে। মদ্যপ অবস্থায় কোনও পাইলট ধরা পড়লে, তাঁর লাইসেন্স তিন বছর সাসপেন্ডও করে দেওয়া হয়। কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয় ক্রু-দের বিরুদ্ধে।

ডিজিসিএ-র পক্ষ থেকে গত ২৯ মার্চ এই নোটিস দেওয়া হয় ৷ ডিজিসিএ-র পক্ষ থেকে গত ২৯ মার্চ এই নোটিস দেওয়া হয় ৷

তবে ব্রেথ অ্যানালাইজারের পরীক্ষা না হলেও নিয়মটি কড়া ভাবেই থাকছে বলে ডিজিসিএ-র এক কর্তা জানিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পাইলট এবং কর্মীরা যে মদ্যপ অবস্থায় নেই, তা জানিয়ে একটি স্বঘোষিত শংসাপত্র জমা দিতে হবে তাঁদের। তারপরেও এর কোনও রকম অন্যথা হলে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়াও সংশ্লিষ্ট কর্মী বা পাইলট যে মদ্যপ অবস্থায় নেই, তা নিশ্চিত করতে বিমান পরিবহণ সংস্থাগুলিকে তার দায়ভার নিতে বলা হয়েছে। ডিজিসিএ-র এক কর্তার কথায়, "বিমানের সুরক্ষা এবং দুর্ঘটনা রোধের ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। এটি কখনওই বন্ধ করা সম্ভব নয়। আপাতত, কোভিড-১৯-এর সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে ওই পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সংক্রমণের প্রভাব কমলেই ফের ওই পরীক্ষা চালু করা হবে।"

কোভিড সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে ব্রেথ অ্যানালাইজার থেকে সংক্রমণ ছড়াতে পারে, এই আশঙ্কা প্রকাশ করে আদালতে বেশ কয়েকটি মামলা হয়। ওই মামলার ভিত্তিতেই ব্রেথ অ্যানালাইজার ব্যবহারের বিরুদ্ধে রায় দেয় কেরল ও দিল্লি হাইকোর্ট। তার পরে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে যায়। সুপ্রিম কোর্ট আপাতত ১২ জুন পর্যন্ত দুই হাইকোর্টের রায়কেই মান্যতা দিয়েছে।

Shalini Datta

Published by:Siddhartha Sarkar
First published:

Tags: Breath Analyser Test, Coronavirus, Pilot