দেশে করোনা আক্রান্ত ১ হাজার ছাড়াল, রাতারাতি আক্রান্ত বাড়ল রাজ্যেও
দেশজুড়ে করোনা-যুদ্ধ
পশ্চিমবঙ্গেও রাতারাতি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২১ ছুঁয়েছে।এবার আক্রান্ত প্রৌঢ় শেওড়াফুলির বাসিন্দা। শনিবার জ্বর নিয়ে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
#নয়াদিল্লি: দেশে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ১০০০ ছাড়িয়ে গেল৷ মৃত্যুর সংখ্যা ছুঁয়ে ফেলল ২৭৷ দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসকে রুখতে এ বার সব রাজ্য ও জেলাগুলির সীমান্তও সিল করার নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় সরকার৷
শুধু দিল্লিতেই রবিবার নতুন করে ২৩ জনের শরীরে মারণ ভাইরাস মিলেছে৷ রাজধানীতে আক্রান্তের সংখ্যা ৭২৷ নয়ডা, মহারাষ্ট্র ও বিহারে করোনা ভাইরাস পজিটিভ কেস বেড়েই চলেছে৷
Shailendra Kumar Nirala, Delhi Civil Defence: These people were waiting at Anand Vihar Bus Terminal to leave Delhi. We motivated them and asked them to stay here. All arrangements have been made for them. #COVID19https://t.co/pK0TaGkFI6
পশ্চিমবঙ্গেও রাতারাতি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২১ ছুঁয়েছে।এবার আক্রান্ত প্রৌঢ় শেওড়াফুলির বাসিন্দা। শনিবার জ্বর নিয়ে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এদিন রক্ত পরীক্ষার পরে তার শরীর করোনা পজিটিভ এসেছে। ওই আক্রান্ত প্রৌঢ়ের বয়েস ৫৯ বছর। তিনি সম্প্রতি দূর্গাপুর গিয়েছিলেন।
শনিবার সন্ধেতেই রাজ্যে নতুন করে ২ আক্রান্তের কথা জানা যায়। এই প্রথম করোনা আক্রান্ত হন এ রাজ্যের এক চিকিৎসক। আলিপুরে কমান্ড হাসপাতালের চিকিৎসক দিল্লি থেকে ফিরেছিলেন সম্প্রতি। ৫২ বছরের ওই অ্যানাস্থেটিস্ট জ্বর,শ্বাসকষ্টে ভুগতে শুরু করায় তাকে নাইসেডে নিয়ে আসা হয় পরীক্ষার জন্যে।
করোনা আক্রান্ত আরেক বৃদ্ধের বাড়ি বরাহনগরে। লেকটাউনের এক নার্সিংহোমে ভর্তি তিনি। ২৬ মার্চ থেকে জ্বর নিয়ে হাসপাতালে বৃদ্ধ ।
নতুন করোনা কেসের মধ্যে স্পাইস জেটের এক পাইলট রয়েছেন, যাঁরা সম্প্রতি কোনও আন্তর্জাতিক সফর নেই৷ গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১০৬ জনের শরীরে করোনা মিলেছে৷ আক্রান্তের সংখ্যা ১০২৪৷
দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউনে সবে ৬ দিন হয়েছে৷ এরই মধ্যে কয়েক লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক বাড়ি ফেরার তাগিদে রাস্তায় নেমেছেন৷ কেউ কয়েকশো কিলোমিটার হাঁটতেই মারা গিয়েছেন৷ কারও খাবার জুটছে না৷ উত্তরপ্রদেশে রবিবারই এক পরিযায়ী শ্রমিক প্রাণ০০ কিমি হাঁটার পরে হার্ট অ্যাটাক হয় তাঁর৷ হারিয়েছেন৷ তিনি উত্তরপ্রদেশ থেকে মধ্যপ্রদেশ যাচ্ছিলেন হেঁটে৷ ২২ এ হেন পরিস্থিতিতে রবিবার মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশবাসীর ক্ষমা চেয়েছেন আকস্মিক লকডাউন ঘোষণা করার জন্য৷ তিনি জানান, এই কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না৷
তবে লকডাউনের মধ্যে এর আগে শুধুমাত্র অত্যাবশ্যকীয় পণ্যবাহী যান চালচলে ছাড় ছিল৷ রবিবার তা শিথিল করে, অনত্যাবশ্যকী পণ্যবাহী যানেও ছাড় দেওয়া হয়েছে৷