#নয়াদিল্লি: সোমবার ছিল আন্তর্জাতিক শিশুকন্যা দিবস। এই দিনেই রাজস্থান সরকার জানিয়ে দিল, রাজ্যপালের কাছে বিতর্কিত বিলটি ফেরৎ পাঠানোর আর্জি জানানো হচ্ছে। গতমাসে রাজস্থান বিধানসভায় একটি বিল পাস হয়েছে যা আসলে ২০০৯-এর বিবাহ এবং বাল্যবিবাহ নথিভূক্ত আইনের সংশোধনী।
এই বিল নিয়েই বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, "আইন দপ্তর সমগ্র বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। আমরা রাজ্যপালকে অনুরোধ করেছি যে, বিলটি পাশ হওয়ার পর তাঁর স্বাক্ষরের জন্য পাঠানো হয়েছে, সেটি যাতে উনি ফেরত পাঠান। আমরা পুনরায় বিবেচনা করব।" উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বর রাজস্থানে বিধানসভায় ধ্বনি ভোটে পাশ হয় 'রাজস্থান বাধ্যতামূলক বিবাহ নথিভুক্তিকরণ (সংশোধনী) বিল ২০২১।'
এতে বলা হয়েছে, কোনও নাবালিকার বিয়ের ৩০ দিনের মধ্যে বিবাহ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য অভিভাবককে বাধ্যতামূলক ভাবে সরকারের কাছে জমা দিতে হবে। এরপরেই নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল, এই আইন চালু করে সরকার কি বাল্যবিবাহকেই প্রশ্রয় দিতে চাইছে ? বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো এবং বেশ কয়েকটি সমাজসেবী সংগঠন ও সমাজকর্মীরা সরকারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে। ঘরে-বাইরে প্রতিবাদ সামাল দিতে গিয়ে নাস্তানাবুদ হতে হয়েছে কংগ্রেস-শাসিত সরকারকে।
আরও পড়ুন: দলনেত্রীর নির্দেশ, পুজোয় অসহায়দের পেটপুরে মাংস-ভাতে রাখবে 'মমতাময়ী ক্যান্টিন'!
নানা মহলের নানা প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে অবশেষে মুখ্যমন্ত্রী গেহলট জানিয়েছেন, “রাজ্য থেকে বাল্যবিবাহকে সমূলে উপড়ে ফেলতে বদ্ধপরিকর আমরা। এ নিয়ে সরকার জোরকদমে কাজ করছে। সরকার বাল্যবিবাহ নিয়ে কোনও রকম আপসের পথে যাবে না।"সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়ের জেরেই এই আইন সংশোধন করতে হয়েছে বলে জানান গেহলট। সব ধরনের বিবাহকেই সেখানে নথিভুক্ত করতে বলা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, এই আইন নিয়ে বিরোধীরা ভ্রান্ত ধারণার বাতাবরণ সৃষ্টি করছেন। সংশোধনীর ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।
যদিও চূড়ান্ত বিতর্কের মাঝে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট বলেছেন, রাজ্যপালকে তিনি অনুরোধ করবেন বিলটি যাতে ফেরত পাঠানো হয়। অনেকেই মনে করছেন, প্রবল চাপের মুখে পিছু হঠল সরকার। বাল্যবিবাহ নথিভুক্ত আইন চালু হচ্ছে না রাজস্থানে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।