আহমেদাবাদ: সম্প্রতি গুজরাতের মুন্দ্রা (Mundra Port) বন্দরে ডিরেক্টরেট অফ রেভেনিউ ইন্টেলিজেন্স (DRI) অফিসাররা যে রেকর্ড পরিমাণ মাদক (Drugs) বাজেয়াপ্ত করেছেন, তার বাজারমূল্য শুনলে রীতিমতো চমকে ওঠার মতো ৷ জানা গিয়েছে, ওই পরিমাণ মাদকের দাম ২১ হাজার কোটি টাকা (Drugs Rs 21,000 Crore Seized in Gujarat) ৷ যেগুলি ভারতের বিভিন্ন জায়গায় সাপ্লাই করার জন্যই ওই বন্দরে এসেছিল বলে জানা গিয়েছে ৷
এই ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের দিকেই এখন আঙুল তুলেছে কংগ্রেস ৷ দলের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয়েছে, কীভাবে দেশে এই বিপুল পরিমাণ ড্রাগের চোরাচালান চলছিল ? কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা (Randeep Surjewala) একটি সাংবাদিক সম্মেলনে এই প্রশ্ন তুলেছেন ৷
সুরজেওয়ালা বলেন, মুন্দ্রা বন্দরে ২১ হাজার কোটি টাকা মূল্যের হেরোইন বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৷ যা আজ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ৷ এর জন্য বিভিন্ন সরকারি এজেন্সি, নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো, ইডি এবং ডিআরআই-এর দিকেই আঙুল তুলেছেন তিনি ৷ সুরজেওয়ালা বলেন, মাদক আমাদের দেশের তরুণ সমাজকে ধ্বংস করছে ৷ জুলাই মাসেই দিল্লি পুলিশ ২৫০০ কোটি টাকা মূল্যের ৩৫৪ কেজি মাদক বাজেয়াপ্ত করেছিল ৷ যারা এই মাদক কারবারের সঙ্গে যুক্ত তাদেরকে খুঁজে বের করা হোক ৷
তিনি আরও বলেন, ১৭৫০০০ কোটি টাকা মূল্যের ২৫০০ কেজি মাদক কোথায় গেল ? এভাবেই দেশে ছড়িয়ে পড়ছে মাদক ৷ যা দেশ বিরোধী মূলক কাজেই ব্যবহার করা হচ্ছে ৷ এতে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা ব্যহত হচ্ছে ৷ আর এর সঙ্গে তালিবানদের যোগ রয়েছে ৷ তাই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চের অধীনেই এই ঘটনার তদন্ত হোক বলে দাবি করেছেন সুরজেওয়ালা ৷
अडानी मुंद्रा पोर्ट पर 3,000 किलो हेरोइन ड्रग्स – कीमत 21,000 करोड़ रुपए- पकड़े जाने के बाद अब दुनिया का सबसे बड़ा हेरोइन ड्रग्स मामला सामने आया है।
देश में एक बहुत बड़ा ड्रग कार्टल है, जो सरकार की नाक के नीचे फल फूल रहा है 👇🏼 pic.twitter.com/IHUNZaBjVV — Randeep Singh Surjewala (@rssurjewala) September 22, 2021
ড্রাগ উদ্ধারের পর প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হয়েছিল, সেগুলির দাম ৩৫০০ কোটি টাকার মতো হবে ৷ তবে ৬ দিন ধরে তদন্ত চালানোর পর বাজেয়াপ্ত হওয়া বিপুল পরিমাণ মাদকের সঠিক বাজারমূল্য জানতে পারেন তদন্তকারী অফিসাররা ৷ যে অঙ্কটা আসলে ২১ হাজার কোটি টাকা ৷
গোয়েন্দা সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, জঙ্গি কার্যকলাপ চালিয়ে যাওয়ার জন্য আইএসআই (ISI) এবং তালিবানের (Taliban) এই একটাই মাধ্যম ৷ আফগানিস্তানের আশরাফ গনির সরকার এই ধরণের জিনিসপত্র নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেও তালিবানদের জমানায় ফের তার ব্যবসা শুরু হয়েছে ৷ যে মাদক গুজরাতের বন্দরে ধরা পড়েছে, তা অত্যন্ত উৎকৃষ্ট মানের হেরোইন (Heroin) বলে পরীক্ষাগারে পরীক্ষার পর জানা গিয়েছে ৷
আরও পড়ুন- যৌন জীবনে বিপদ ডেকে আনছে ওবেসিটি, সময় থাকতে সচেতন হন!
DRI অফিসাররা জানতে পেরেছেন এই মাল বিজয়ওয়াড়ার একটি সংস্থার নামে ভারতে আমদানি করা হয়েছিল ৷ TALC স্টোনের নামে আফগানিস্তান থেকে ইরানের বন্দর আব্বাস হয়ে গুজরাতের মুন্দ্রা বন্দরে এসে পৌঁছেছিল সেগুলি ৷ আফগানিস্তান থেকেই এই ড্রাগ এসেছে বলে নিশ্চিত গোয়েন্দারা ৷ ৪০ টনের দুটি কন্টেনার বাজেয়াপ্ত করা হয় ৷ তারপর সেগুলি গান্ধিনগরের ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবে পাঠানো হয় ৷ সেই পরীক্ষাতেই ধরা পড়ে বাজেয়াপ্ত হওয়া জিনিসগুলি আদতে অনেক দামি হেরোইন ৷ প্রথম কন্টেনারে ১৯৯৯.৫৭৯ কেজি মাদক এবং দ্বিতীয় কন্টেনারে ৯৮৮.৬৪ কেজি মাদক উদ্ধার করা হয় ৷ সবমিলিয়ে তাতে ২৯৮৮.২১৯ কেজি ছিল বলে জানা গিয়েছে ৷
এই ঘটনায় চেন্নাইয়ের বাসিন্দা এক দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ প্রায় ৩০০০ কেজির মাদকের চোরাচালানের পিছনে তাদের হাত রয়েছে, এমন বেশ কিছু প্রমাণ হাতে এসেছে পুলিশের কাছে ৷ সন্দেহভাজনদের দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয় ৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।