#বান্দ্রা: ঘড়িতে তখন ভোর সাড়ে পাঁচ'টা। বান্দ্রা টার্মিনাস-রামনগর এক্সপ্রেস তখন দ্রুত গতিতে যোগেশ্বরী স্টেশন দিতে ছুটছিল। আচমকাই ইঞ্জিন থেকে খুলে ছিটকে গেল চলন্ত ট্রেনের গোটা একটা কামরা। বৃহস্পতিবার সকালের এই ভয়াবহ ঘটনায় প্রশ্নের মুখে রেলের যাত্রী সুরক্ষা। দিনভর রেল পরিষেবা বন্ধ থাকায় চূড়ান্ত হয়রানির শিকার হলেন মুম্বইয়ের ওয়েস্টার্ন রেলওয়ে সাবারবার্ন নেটওয়ার্কের লোকাল এবং এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীরা। পণ্য পরিবহন বন্ধ ছিল বহুক্ষণ। তবে স্বস্তি একটাই, ট্রেনে কোনও যাতেয়ে না থাকায় বড় বিপদ এড়ানো সভব হয়েছে। নয়তো শয়ে শয়ে যাত্রী বিপদের মুখে পড়তেন। এ দিন ভোরে আচমকা প্রবল শব্দে কেঁপে উঠেছিল চারিদিক। ঘুম ভেঙে শব্দের উৎস খুঁজতে শুরু করেন অনেকেই। তারপরেই সামনে আসে ভয়ানক ঘটনা।
বৃহস্পতিবার ভোর ৫.১০ মিনিটে বান্দ্রা টার্মিনাস থেকে ছেড়ে উত্তরপ্রদেশের রামনগরে যাচ্ছিল। মুম্বই রেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানা গিয়েছে, ৫.৩০ মিনিট নাগাদ ট্রেন যখন অন্ধেরী এবং যোগেশ্বরী স্ট্রেশনের মধ্যে, তখনই ট্রেনের রেয়ার এলএইচবি (Linke Hofmann Busch) থেকে ট্রেনের বাকি অংশ আলাদা হয়ে যায়। ওয়েস্টার্ন রেলওয়ের জনসংযোগ আধিকারিক সুমিত ঠাকুর বলেন, "এক্সপ্রেসের একদম শেষের দিকের কামরাটি খালি ছিল। ফলে বড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে।" তবে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দা এবং নিত্যযাত্রীদের মধ্যে। তাঁদের দাবি, এই ঘটনা যদি যাত্রী বোঝাই কামরার ক্ষেত্রে ঘটত, তবে সাংঘাতিক অবস্থা হতে পার্ট। প্রাণ যেত বহু মানুষের।
এ দিকে, ঘটনার পরেই সেখানে যান রেলের কর্তারা এবং ইঞ্জিনিয়াররা। ৬.৪০ মিনিটে কামরাটি ফের জুড়ে দেওয়ার পরে ট্রেন চালু হয়। যদিও ফের এই একই ঘটনা ঘটে এ দিনই। নইগাঁও এবং ভাসাই রোডের মধ্যে ফের ট্রেনের কামরাটি ছলন ট্রেন থেকে ছিটকে যায়, তখন ঘড়িতে সকাল ৭.১৭ মিনিট। তবে আর কামরাটি জোড়া হয়নি ট্রেনের সঙ্গে। সেই বগি ছাড়াই গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ট্রেন। পরে অন্য ইঞ্জিন গিয়ে ট্রেনটিকে ভাসাই রোডের রেল ইয়ার্ডে নিয়ে যায়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Mumbai, Train Accident