#নাগপুর: দেশের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে’র পরিবারে আড়াই কোটি টাকা চুরির দায় গ্রেফতার করা হল কেয়ারটেকারকে। বিচারপতি এস এ বোবদে’র মা মুক্তা বোবদে এই জালিয়াতির মামালা করেছেন। বুধবার পুলিশ তাপস ঘোষ নামক ৪৯ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে নাগপুর থেকে গ্রেফতার করে। নাগপুর পুলিশ কমিশনার অমিতেশ কুমার বলেন এই বিষয়টি ডিসিপি বিনিতা সাহুর তত্বাবধানে একটি বিশেষ দল তদন্ত করছেন।
মুক্তা বোবদের নাগপুরে আকাশবাণী স্কোয়ারে একটি বাড়ি রয়েছে, যেটি তিনি বিয়ে ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য ভাড়া দেন। ২০০৭ সালে এই বাড়িটি দেখাশোনা করার জন্য মুক্তা বোবদে তাপস ঘোষকে নিয়োগ করেন। এর জন্য তাঁকে ভাল টাকার বেতন দেওয়া হত। এ ছাড়াও বিয়ের বুকিং করলে কিছু উপরি কমিশনও পেতেন ঘোষ।
বয়স এবং স্বাস্থ্যের সুযোগ নিয়ে তাপস ঘোষ ও তাঁর স্ত্রী দিনের পর দিন মুক্তা বোবদে-কে ঠকিয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ। লেনদেন সম্পর্কে তাঁকে ধোঁয়াশায় রেখেছিলেন। এমনকি বিয়ের বুকিং-এর জন্য যত টাকা পার্টিদের কাছ থেকে আদায় করতেন, তার সবটা মুক্তা বোবদের হাতে তুলে দিতেন না। খাতা কলমেও অনেক কারসাজি করেছেন এই দম্পতি।
পুলিশ কমিশনার অমিতেশ কুমারের মতে, তাঁরা বুকিং-এর তথ্য সঠিক ভাবে পেশ করতে পারেননি। এই জালিয়াতির কথা সামনে এসেছে লকডাউন শুরু হওয়ার জন্য। ওই সময় অনেক বিয়ের তারিখ পিছিয়ে বা বুকিং ক্যানসেল করে দেওয়া হয়েছিল। কয়েকটা বুকিং ক্যানসেল হওয়ার দরুন গ্রাহকেরা বার বার টাকা ফেরত চায়। কিন্তু টাকা ফেরত না পেতেই গন্ডগোল বাঁধে এবং সমস্ত ব্যপারটি জলের মতন পরিষ্কার হয়ে যায়।
এর পরে অগাস্ট মাসে বোবদে পুলিশের কাছে প্রতারনার অভিযোগ দায়ের করেন। ফিনানশিয়াল কর্মকর্তাদের একটি শাখা তারপরে বিষয়টি তদন্তের জন্য ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং ২০১৩ সাল থেকে সমস্ত বুকিং-এর রিসিপ্ট যাচাই করে দেখা হয়। সেখানেই ধরা পড়ে যায় তাপস ঘোষ এবং তাঁর স্ত্রী আড়াই কোটি টাকা চুরি করেছেন।
মঙ্গলবার রাতে এসআইটি কর্মকর্তারা নাগপুরের সীতাবুল্ডি পুলিশ স্টেশনে ঘোষ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আইপিসির ৪০৯ (বিশ্বাসের লঙ্ঘন), ৪২০ (প্রতারণা) ও ৪৬৭ (জালিয়াতি)- র মামলা দায়ের করেন এবং ঘোষকে গ্রেফতার করেন। এখন ওই ব্যাক্তি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন এবং তাঁকে ১৬ ডিসেম্বর কোর্টে নিয়ে যাওয়া হবে। Written by: Somosree Das