#নয়াদিল্লি: লাদাখে যে কোনও সময় আক্রমণ চালাতে পারে চিনা বিমান বাহিনী। পিএলএ-র সমর্থনে ভারতের ওপর আচমকা হামলা করার প্রস্তুতি ভেতর ভেতর নিচ্ছে চিন। এমনটাই দাবি ভারতীয় বিমান বাহিনীর প্রধান আর কে এস ভাদোরিয়ার। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন,"দুই দেশের সেনা এখনও একে অপরের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। আলোচনা চলছে ঠিকই, কিন্তু এতদিনে উত্তাপ যতটা কমার দরকার ছিল ততটা কমেনি। এ ধরনের পরিস্থিতি কখন হাতের বাইরে চলে যাবে বলা মুশকিল। বিশ্বস্ত সূত্রে খবর নিজেদের সেনাবাহিনীকে সাহায্য করতে চিনা বিমানবাহিনী সবরকম প্রস্তুতি সেরে রেখেছে।" কিন্তু ভারত জানে চিনকে বিশ্বাস করা বোকামি। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েছে তাঁরা। তাই নিজেদের প্রস্তুতি ঠিক রাখতে কোনও খামতি নেই ভারতের।
চিন নিজেদের আধুনিক প্রজন্মের জে ১০, জে ২০ এবং কিছু বোম্বার যেমন রেখেছে, তেমনই ভারত রাফাল, সুখই ছাড়াও মিগ ২৯ এবং মিরাজ প্রস্তুত রেখেছে। এয়ার মার্শাল মনে করেন উত্তর সীমান্তে চিনের পদক্ষেপের সম্ভাব্য কারণগুলির মধ্যে রয়েছে পরিকল্পিতভাবে শক্তি বৃদ্ধি এবং সীমান্ত দাবির লাইন স্থাপন করা। নিজেদের দাবি বজায় রেখে আধিপত্য কায়েমের চেষ্টা লাল সেনার। পাশাপাশি সামরিক প্রযুক্তি বাড়ানোর ক্ষেত্রে চিন যে বিশাল বাজেট রেখে এগোচ্ছে সেটা আসল যুদ্ধক্ষেত্রে কতটা কার্যকরী হবে তার একটা আন্দাজ পাওয়া।
কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে ভারতীয় বিমানবাহিনী দিনের পাশাপাশি রাতেও সম্ভাব্য হামলা এবং তার পাল্টা হামলার মহড়া সেরে রেখেছে। চিনের বিমান বাহিনীর হাতে সংখ্যায় ভারতের থেকে বেশি রসদ থাকলেও, যুদ্ধের অভিজ্ঞতায় অনেক পিছিয়ে। যে কোনও রকম মিশন চালানোর জন্য তৈরি রাখা হয়েছে সব পাইলটদের। ফলে এয়ার মার্শাল জানিয়েছেন হামলা চালাবে কিনা সেটা চিনের হাতে। কিন্তু পরিবর্তে তার কী মূল্য চোকাতে হবে সেটা ভারতের হাতে।