#তিরুঅনন্তপুরম: লিভ-ইন সম্পর্কে থাকাকালীন জন্মগ্রহণকারী সন্তানের পৈতৃক সম্পত্তিতে অংশীদারিত্ব অস্বীকার করা যেতে পারে না। কেরল হাইকোর্টের এক রায়কে পাশে রেখে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) মহামান্য বিচারপতি জানিয়েছেন যে, আইন যদিও সর্বদা বিবাহের পক্ষে অনুমোদন দেয় এবং কোনও অবস্থাতেই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ককে অনুমোদন করে না তৎসত্ত্বেও যদি একজন পুরুষ এবং মহিলা দীর্ঘ সময়ের জন্য একত্রে বাস করেন, সে ক্ষেত্রে তাঁদের সন্তানের পৈতৃক সম্পত্তিতে অধিকারকে অস্বীকার করা যায় না (Child born in live-in relationship)।
আরও পড়ুন-কেন বদল ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী? প্রচারে ইস্যু করল তৃণমূল কংগ্রেস
এদিন বিচারপতি এস আব্দুল নাজির (S Abdul Nazeer) এবং বিক্রম নাথের (Vikram Nath) জয়েন্ট বেঞ্চ জানিয়েছে, ‘‘যদি একজন পুরুষ ও নারী দীর্ঘদিন স্বামী এবং স্ত্রী হিসাবে একত্রে বাস করেন, তবে তাঁদের বিবাহ না হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের সম্পর্ককে বিবাহজনিত সম্পর্ক হিসাবেই অনুমোদন দেওয়া হবে। সাক্ষ্য আইনের ১১৪ ধারার অধীনে এই ধরনের অনুমোদন দেওয়া যেতে পারে।’’
সুপ্রিম কোর্ট এদিন কেরলের মামলায় চূড়ান্ত রায় দিতে গিয়ে বলেছে, বাবা কিংবা মা, দুইয়েরই সম্পত্তির মালিক হওয়ার অধিকারী লিভ ইন সম্পর্কে থাকা নারী পুরুষের সন্তানের ৷ প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে সুপ্রিম কোর্ট লিভ ইন সম্পর্ককে স্বীকৃতি দেয় ৷
অন্য একটি মামলার জের টেনে এদিন বিচারপতি জানান, আইন যদিও সর্বদা বিবাহের রয়েছে এবং কোনও অবস্থাতেই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ককে অনুমোদন করে না তৎসত্ত্বেও যদি একজন পুরুষ এবং মহিলা দীর্ঘ সময়ের জন্য একত্রে বাস করেন, সে ক্ষেত্রে তাঁদের সন্তানের পৈতৃক সম্পত্তিতে অধিকারকে অস্বীকার করা যায় না।
আরও পড়ুন- আগামী ২-৩ ঘণ্টায় ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস রাজ্যের এই তিন জেলায়, জেনে নিন আবহাওয়ার আপডেট
২০০৯ সালে কেরল হাইকোর্টে আসা এক রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানো হলে মহামান্য বিচারপতি এই রায় দিয়েছেন। এর পূর্বে হাইকোর্ট মত দিয়েছিল যে বিবাহ বর্হিভূত অবস্থানে জন্মানো সন্তান উত্তরাধিকারী হিসেবে সম্পত্তিতে ভাগ পাওয়ার অধিকারী হবে না। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, এই ধরনের মামলায় এভিডেন্স অ্যাক্টের অধীনে সম্পর্ক আদৌ বিবাহ বহির্ভূত কি না তা তদন্ত সাপেক্ষে বিচার করতে হবে। আদালত এদিন এও বলেছে এই ধরনের মামলায় রায়দানে বিলম্ব এড়াতে সারা দেশের সমস্ত আদালতে প্রাথমিক ডিক্রির পরেই চূড়ান্ত ডিক্রি পাস করার প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত। এই বিষয়ে প্রাথমিক ডিক্রি পাস করার পর, ট্রায়াল কোর্টকে সিপিসি-এর আদেশ XX বিধির ১৮-এর অধীনে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বিষয়টি তালিকাভুক্ত করতে হবে এবং যত শীঘ্র সম্ভব এই ধরনের কেসে সম্পত্তি বিভাজন ও যাবতীয় জটিলতার নিষ্পত্তি করতে হবে। এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট তার রেজিস্ট্রিকে আদেশ দিয়েছে এই রায়ের কপি যেন সমস্ত হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলদের কাছে পাঠানো হয়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Supreme Court