#রায়পুর: তার আগমণেই সকলে চমকে উঠেছিল। শুরু থেকেই লড়াই। মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই। শেষমেশ পুচকির মুখে মুচকি হাসি। এ যেন এক রূপকথা। রূপকথার নাম চেরি।
তার আসার কথা ছিল যে সময়ে, তার চার মাস আগেই আগমণ। জন্মের সময় ওজন ছিল মাত্র ৩৭৫ গ্রাম ৷ মা-বাবা নিতিকা ও সৌরভ ছত্তিশগঢ়ের রাজনন্দগাঁওয়ের বাসিন্দা। নিতিকাকে এর আগে চার বার গর্ভপাতের যন্ত্রণা সইতে হয়েছে। পঞ্চমবার জন্ম দেন শিশুকন্যার। হায়দরাবাদের হাসপাতালে। কিন্তু, নবজাতকের ওজন মাত্র ৩৭৫ গ্রাম। নতুন এই অতিথিকে পেয়ে মা-বাবার যত না আনন্দ, তার থেকে বেশি তখন দুশ্চিন্তা।
এত কম ওজনের শিশুকে বাঁচিয়ে রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ ছিল হায়দরাবাদের হাসপাতালের চিকিৎসকদের কাছে। জন্মের পরই জন্ডিস। ফুসফুসে সংক্রমণ। ১০৫ দিন ধরে ভেন্টিলেটরে রেখে চলে চিকিৎসা। শেষমেশ অসাধ্য সাধন।
মাত্র ৩৭৫ গ্রামের নবজাতক। স্মার্ট ফোনের থেকে কিছুটা ভারী। এমন শিশুকে হাতে পেয়ে চিকিৎসকের মুখ থেকে প্রথম যে শব্দটা বেরিয়েছিল, তা হলে চেরি। সেই থেকে শিশুর ডাক নাম চেরি।
চিকিৎসকদের দাবি, দেশের মধ্যে চেরিই সবচেয়ে কম ওজনের নবজাতক। যাকে বাঁচানো গিয়েছে। দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে পাঁচ মাস। পাঁচ মাসে, ওজন বেড়ে হয়েছে প্রায় ২ কেজি আড়াইশো গ্রাম। চেরি এখন সুস্থ। চেরি যেন এক রূপকথা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।