#নয়াদিল্লি: কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউতে বিপর্যস্ত অবস্থা হয়েছিল দেশে। সেই তুলনায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বর্তমানে বেশ কিছুটা কমলেও মৃত্যু মিছিল এখনও জারি রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টাতেও প্রায় দেড় হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে দেশে। আর দেশে করোনায় মৃতদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণের বিষয়ে কয়েকদিন আগেই প্রশ্ন করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। এরপরও তা নিয়ে কেন্দ্রের কাছে জানতে চেয়েছিল শীর্ষ আদালত। সেই মামলাতেই এবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, করোনায় মৃতদের পরিবারপিছু ৪ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া সম্ভব নয়।
কেন্দ্রের বক্তব্য, প্রত্যেক পরিবারকে সাহায্য করার সামর্থ্য সরকারের নেই। কেন্দ্রের ব্যাখ্যা, শুধুমাত্র কোভিডের ক্ষেত্রে আর্থিক সাহায্য দিয়ে অন্য রোগের ক্ষেত্রে না দেওয়া হলে তা অন্যায় হবে। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা সুপ্রিম কোর্টে ১৮৩ পাতার হলফনামা জমা দিয়েছেন। তাতে কেন্দ্রের তরফে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, এখনও পর্যন্ত ভারতে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ৩ লাখ ৮৫ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এই সংখ্যা আরও বাড়াবে। আর গোটা পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রের উপর মারাত্মক আর্থিক চাপ রয়েছে। এই আর্থিক চাপের মধ্যে দেশের সকল কোভিড মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া সম্ভব নয়।
বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের কথা উল্লেখ করে কেন্দ্র আরও যুক্তি দিয়েছে, আইন অনুযায়ী, ক্ষতিপূরণ কেবল ভূমিকম্প, বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষেত্রের মৃত্যুতে প্রযোজ্য। কিন্তু অতিমারির কারণে মৃত্যুমিছিল হলে তাতে এই আইন বলবৎ হয় না। উল্লেখ্য, করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুতে আর্থিক ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে। যাঁদের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের প্রত্যেকের পরিবারকে ৪ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার দাবি জানানো হয়। বিচারপতি অশোক ভূষণ এবং বিচারপতি এমআর শাহের বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি চলছে।
ক্ষতিপূরণের দাবি তুলে সুপ্রিম কোর্টে এই মামলা করেছিলেন আইনজীবী গৌরব কুমার বনসল ও রীপক কানসাল। তাঁদের জনস্বার্থ মামলার ভিত্তিতেই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে নোটিশ পাঠিয়েছিল শীর্ষ আদালত। ক্ষতিপূরণ প্রদানের ক্ষেত্রে বিপর্যয় মোকাবিলা আইন ২০০৫-এর ধারা ১২ উপরেও বারবার জোর দিয়েছিলেন তাঁরা। তাঁদের দাবি বিপর্যয়ের ফলে মৃত কোনও ব্যক্তিকে ন্যূনতম সাহায্য করা ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির মৌলিক কাজ। কিন্তু সেই যুক্তি সুপ্রিম কোর্টে নস্য়াৎ করে কেন্দ্র। তবে, কোভিডে মৃত্যু ও অন্য কারণে মৃত্যুর বিষয়টি যাতে গুলিয়ে না যায়, তাই করোনায় মৃতের ডেথ সার্টিফিকেট লেখার কিছু নির্দিষ্ট নীতি বা গাইডলাইন থাকা উচিত বলে সম্প্রতি জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।