#নয়াদিল্লি: সোশ্যাল মিডিয়া, ডিজিটাল মিডিয়া ও ওটিটি প্ল্যাটফর্মের কনটেন্টের উপর বিশেষ কিছু নিয়মাবলী জারি করল কেন্দ্র। বিগত বেশ কয়েকদিনে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ওয়েব মাধ্যমে প্রকাশিত বিষয়ের উপর নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানা যাচ্ছিল। আজ তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর ওয়েব ও ওটিটি কনটেন্টের উপরে বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করার কথা জানালেন।
নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ফেসবুক বা টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে বিতর্কিত পোস্ট যত শীঘ্র সম্ভব তা মুছে ফেলতে হবে। এরও সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। আইনি বা সরকারি নির্দেশ আসার ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে অবশ্যই সেই পোস্ট ডিলিট করতে হবে।
এমনকি বিতর্কিত পোস্ট নিয়ে তদন্ত হলে ফেসবুক বা টুইটারের মতো সংস্থাগুলিকে সেই তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে। সরকার পক্ষ থেকে তদন্তে সহায়তা করার অনুরোধ আসার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এই সংস্থাগুলিকে সাহায্যের হাত বাড়াতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও বিতর্কিত বা ক্ষতিকর বিষয় পোস্ট হলে, সেই পোস্টের মূল উৎস কী তা খুঁজে বের করতে হবে সংশ্লিষ্ট প্ল্যাটফর্মকেই। সেই পোস্ট মুছে ফেলতে হবে।
প্রতিটি প্ল্যাটফর্মের জন্য একজন প্রধান অভিযোগ কর্মকর্তা থাকবেন বলে বলা হয়েছে এই নির্দেশিকায়। এছাড়া আইন রক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য একজন আধিকারিক থাকবেন প্রতিটি ওয়েব প্ল্যাটফর্মে।
প্রতিটি ডিজিটাল মিডিয়া ও ওটিটির জন্য একটি করে কমিটি তৈরি হবে। সেই কমিটির প্রধান হিসেবে থাকবেন শীর্ষ আদালত বা হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। কোনও বিষয় নিয়ে বিতর্ক তৈরি হলে বা অভিযোগ উঠলে তাঁরা এবং কমিটি বিষয়টির দিকে নজর দেবেন।
ওটিটি ও ডিজিটাল মিডিয়ার ক্ষেত্রে বলা হয়েছে কোনও ব্যক্তির যৌন উস্কানিমূলক ছবি নিয়ে অভিযোগ উঠলে তা ডিলিট করতে হবে। কোনও মহিলার থেকে অভিযোগ এলে ২৪ ঘণ্টার মধ্য়ে ডিলিট করতে হবে।
এছাড়াও আরও একটি বিষয়ে কড়া নিয়ম জারি করা হয়েছে। কোনও ছবি বা বিষয় যদি ভারতের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব, ধর্মীয় ভাবাবেগ আঘাতের দায়ে অভিযুক্ত হয় তা হলে অবিলম্বে জানতে হবে সেই ছবি বা পোস্টটি কে বা কারা করেছেন। ওটিটি প্ল্যাটফর্মের ক্ষেত্রেও এই বিষয়গুলির দিকে নজর দেওয়া হবে। ফেক নিউজ ছড়ালে, প্রথম যে ব্যক্তি সেই ফেক নিউজ ছড়িয়েছেন তাঁর পরিচয় সামনে আনতে হবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি টুইটারে কৃষক আন্দোলন নিয়ে বিভিন্ন পোস্টের পরেই আরও নড়েচড়ে বসে কেন্দ্র। এছাড়া ওয়েব সিরিজ তাণ্ডব ও মিরজাপুরের বিরুদ্ধেও দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগ ওঠে। তার পর থেকেই ওটিটি প্ল্যাটফর্মের উপরেও কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ আনার কথা শোনা যাচ্ছিল।