#নয়াদিল্লি: যে পেগাসাস ইস্যুতে উত্তাল সংসদের বাদল অধিবেশন, সেই বিতর্কিত বিষয় নিয়ে সংসদে অন্তত এখন কোনও আলোচনাই নয় বলেই জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। সংসদের বাদল অধিবেশনের ঠিক আগেই সামনে আসে পেগাসাস ইস্যু। আর অধিবেশনের শুরু থেকেই তা নিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়ে আসছিল বিরোধীরা। পেগাসাস নিয়ে আলোচনার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে সাসপেন্ড হয়েছেন একাধিক সাংসদ। কিন্তু তারপরও সংসদে পেগাসাস নিয়ে কোনও আলোচনা করতে রাজি নয় কেন্দ্র। এমনটাই এদিন সংসদে জানিয়েছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। কিন্তু কেন? কেন্দ্রের দাবি, সুপ্রিম কোর্টে ইতিমধ্যেই পেগাসাস নিয়ে মামলা চলছে। কোনও বিচারাধীন বিষয় নিয়ে তাই আলোচনা হবে না সংসদে। যদিও বিরোধীরা তা মানতে নারাজ। তাঁরা নিজেদের পুরোনো দাবিতেই অটল রয়েছেন।
এদিন সংসদের অধিবেশনের শুরুর পর থেকেই ফের পেগাসাস নিয়ে আলোচনার দাবিতে সরব হয় বিরোধীরা। পরিস্থিতি দেখে সংসদের দুই অধিবেশনই সোমবার পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে যায়। বিরোধীদের অভিযোগ, সত্য সামনে চলে আসার ভয়েই পেগাসাস নিয়ে আলোচনা চাইছেন না নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহরা। যদিও বিজেপির পাল্টা দাবি, সংসদে আলোচনা করতে চায় না বিরোধীরা। তাই হইহট্টগোল করে সংসদের কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) পেগাসাস মামলা (Pegasus) গৃহীত হয়েছে। তবে শুনানি হবে আগামী মঙ্গলবার। তবে, শীর্ষ আদালত বিষয়টির গুরুত্ব স্বীকার করেই বলেছে, 'এই অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর। এর সত্য সামনে আসবেই। আমরা যদিও জানি না সত্যাসত্য ঠিক কী, তবে অভিযোগ সত্যি হলে অপরাধীর নামও সামনে আসবে।' শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে নয় জন মামলাকারীর আইনজীবীকেই সরাসরি সরকারের কাছে পিটিশন জমা দিতেও বলা হয়েছে।
পেগাসাস ইস্যুতে নজর রাখছে গোটা দেশ। রাজনৈতিক নেতা থেকে আইনজীবী, বিখ্যাত সাংবাদিক থেকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি- বহু বিখ্যাত মানুষের নাম রয়েছে পেগাসাসের তালিকায়। বিরোধীরা জানতে চায়, এই আড়িপাতার ঘটনায় সরকার প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত কিনা। কারণ সরকার ছাড়া নৈতিক ভাবে কোনও পক্ষই এই হাতিয়ার ব্যবহার করতে পারে না। সরকারের ক্ষেত্রেও এর ব্যবহার মূলত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অনুমতিসাপেক্ষ। অপহরণ, জঙ্গিদের মনিটারিং-এই সব ক্ষেত্রেই এই স্পাইওয়ার ব্যাবহৃত হওয়ার কথা। কিন্তু এবার ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে সমাজকর্মী থেকে রাজনৈতিক নেতাদের ক্ষেত্রেও।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।