#কলকাতা: 'নাম বদল' নজরদারিতে এবার রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের এক বিশেষ পর্যবেক্ষক দল আগামী সোমবার রাজ্যে আসছে। ২ জুলাই পর্যন্ত টানা ছ'দিন রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় জেলায় নজরদারি চালাবে এই দল। কি পর্যবেক্ষণ করবে মনিটরিং টিমের সদস্যরা?
বঙ্গ বিজেপির নেতারা বারবারই অভিযোগ করে থাকেন যে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় নির্মিত বাড়ি নাম পরিবর্তন করে রাজ্য সরকার বাংলা আবাস যোজনা করে নিজেদের কৃতিত্ব দাবি করে। কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থ বরাদ্দে বাড়ি তৈরি হলেও প্রধানমন্ত্রী কথাটি উল্লেখই করে না রাজ্য সরকার। এ ব্যাপারে দীর্ঘদিন ধরেই সরব রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। বাংলার গেরুয়া শিবিরের নেতারা এই মর্মে কেন্দ্রের কাছে একাধিকবার নালিশও করেছে। অবশেষে বঙ্গ সফরে তদন্তে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল।
আরও পড়ুন - Healthy Lifestyle: মিলনে অনীহা, দামী ওষুধ না খেয়ে ঘরোয়া খাবারেই হতে পারে কামালরাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভার ভেতরে এবং বাইরে এ ব্যাপারে রাজ্য সরকার তথা শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে একাধিকবার বিবৃতি দিয়েছেন। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে একের পর এক অভিযোগের বোমা ফাটিয়েছেন। শেষমেষ সত্যিই কি অভিযোগের কোনও ভিত্তি রয়েছে? উত্তর খুঁজতে একেবারে সরেজমিনে দিল্লি থেকে বাংলায় আসছে বিশেষ পর্যবেক্ষক দল। নিয়ম অনুযায়ী, বাড়ি তৈরীর পর সেই বাড়ির গায়ে কোন প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহ নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে তার উল্লেখ থাকার কথা। কিন্তু বিজেপির অভিযোগ, উল্লেখ তো থাকে।
তবে কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরি হলেও সেখানে প্রধানমন্ত্রীর নাম সরিয়ে ফেলে বাংলা আবাস যোজনা লেখা হয়। এ ব্যাপারে নিজেদের আপত্তির কথা তুলে ধরে হামেশাই সরব হন রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতারা। বঙ্গ বিজেপির নেতাদের দাবি,' কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল নজরদারিতে আসার খবর পেয়েই নবান্নের তরফে তড়িঘড়ি জেলাশাসক ও বিডিওদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের পরিদর্শনের জন্য পৌঁছানোর আগে যেন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (PMAY) বাড়িগুলিতে সঠিক নাম ও লোগো ব্যাবহার করা হয়। রাতারাতি প্রধানমন্ত্রীর নাম যুক্ত করার জন্য প্রশাসন এখন উঠে পড়ে লেগেছে'।
বঙ্গ বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, কেন্দ্রীর পর্যবেক্ষক দলের কাছে অনুরোধ জানাবো, তারা যখন তদন্তে যাবেন, তখন যেন নিজেরাই ঠিক করে নেন যে কোন কোন বাড়িগুলো পরিদর্শন করবেন, কারণ রাজ্য প্রশাসনের আধিকারিকরা হয়তো আগে থেকে রাতারাতি প্রধানমন্ত্রীর নাম যুক্ত করা বাড়িগুলিতে বেছে বেছে কেন্দ্রীয় দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে যাবেন। যাতে না কেন্দ্রীয় দল কিছু টের পায়'। গেরুয়া শিবিরের নেতৃত্বের কথায়, 'প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় পশ্চিমবঙ্গের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৪০ লক্ষ আবাসন বরাদ্দ করেছেন। তার পরেও কী ভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকল্পের নাম বদলে নিজের বলে চালাচ্ছেন এবার বাংলার মানুষের কাছে সব স্পষ্ট হয়ে যাবে।
যদিও রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের আসা প্রসঙ্গে শাসকদলের সাংসদ তথা তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র শান্তনু সেনের খোঁচা, 'নাম বদলের রাজনীতি বিজেপিই করে। ইন্দিরা গান্ধী আবাস যোজনার নাম পাল্টে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা কার করা? পাল্টা বিজেপির বক্তব্য, কেন্দ্র স্পষ্ট করে দিয়েছে, এবার থেকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নাম যদি পশ্চিমবঙ্গে উল্লেখ না থাকে তাহলে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ বন্ধ'। প্রসঙ্গত , নাম বদল মনিটরিংয়ের পাশাপাশি কেন্দ্রের আর্থানুকূল্যে বাড়ি তৈরিতে দুর্নীতি ও সঠিক নিয়ম কানুন মেনে গৃহ নির্মাণ হয়েছে কিনা সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখবে কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট দফতর বলে জানা গেছে।
VENKATESWAR LAHIRI
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Prime Minister