#নয়াদিল্লি : রাষ্ট্রদ্রোহিতা আইন বহাল রাখা নিয়ে পুনর্বিবেচনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। সুপ্রিম কোর্টে সোমবার জমা দেওয়া হলফনামায় এমনটাই জানাল মোদি সরকার। শীর্ষ আদালতে হলফনামায় কেন্দ্রীয় সরকার জানায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বহু পুরানো ঔপনিবেশিক প্রথার অবলুপ্তি ঘটাতে চান এবং তিনি ক্ষমতায় আসার পর থেকে এখনও পর্যন্ত দেড় হাজার পুরনো আইন খারিজ করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রীয় সরকার হলফনামার মাধ্যমে আবেদন জানায়, রাষ্ট্রদোহিতা আইন খারিজ করে দেওয়ার দাবিতে দায়ের হওয়া মামলার শুনানিতে সময় নষ্ট না করা সরকারকে পুনর্বিবেচনার সময় দেওয়া হোক। হলফনামায় বলা হয়েছে, "রাষ্ট্রদোহিতা আইন নিয়ে বিভিন্ন স্তরের মতামত সম্পর্কে সরকার অবগত। কেন্দ্রীয় সরকার নাগরিকদের স্বাধীনতা এবং মানবধিকার সম্পর্কে সচেতন। মহান দেশের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতা অক্ষুন্ন রাখতে দক্ষ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪এ ধারার পুনর্বিবেচনা করবে।"
আরও পড়ুন: সাত-সকালেই তুমুল উত্তেজনা, শাহিনবাগ নিয়ে ভর্ৎসনার মুখে সিপিআইএম! উচ্ছেদ কি জারি থাকবে?
রাষ্ট্রদোহিতা আইনের বিরোধিতা করে সেটির অবলুপ্তি ঘটানোর দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে এডিটরস গিল্ড এবং অন্যান্যরা। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রও মামলা দায়ের করেন একই দাবিতে। গত ৫ মে মামলার শুনানি হয়। মামলাকারী এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে ৭ মে-র মধ্যে লিখিত যুক্তি জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। একই সঙ্গে ৯ মে-র মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারকে বিষয়টি নিয়ে পাল্টা হলফনামা জমা দেওয়ারও নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা, বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চ।
সওয়াল- জবাব পর্বে ১৯৬২ সালে কেদারনাথ সিং বনাম বিহার সরকারের মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রসঙ্গ ওঠে। ১৯৬২ সালে কেদারনাথ সিং- এর মামলায় সুপ্রিম কোর্ট রাষ্ট্রদোহিতার আইনটি খারিজ করে দেয়নি। তবে শীর্ষ আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল, এর অপব্যবহার রুখতে হবে। সর্বোচ্চ আদালত আরও জানায়, উত্তেজনা, হিংসাত্মক ঘটনায় প্ররোচনা না দিলে শুধুমাত্র সরকারের সমালোচনা করলেই রাষ্ট্রদোহিতার মামলা রুজু করা যাবে না।
সুপ্রিম কোর্ট আরও জানিয়ে দেয়, কোনও রকম অশান্তি, বিশৃঙ্খলা তৈরি না করে সরকারের কাজের সঙ্গে একমত না হলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হয় না। কেদারনাথ সিং বনাম বিহার সরকারের মামলার প্রসঙ্গ তুলে অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপাল বলেন, "এই ধারার অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। যদিও, উচ্চতর বেঞ্চে সুপারিশের কোনও প্রশ্নই ওঠে না, কারণ কেদারনাথ মামলার রায় দারুণ রায়।"
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Narendra Modi