কোনও হুমকির পরোয়া করে না ভারতীয় সেনা, অরুণাচল থেকে গর্জন সিডিএস বিপিন রাওয়াতের
photo source/india.com
অরুণাচল সীমান্তে পৌঁছে গেলেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত। ভারতীয় সেনার সামরিক প্রস্তুতি,পরিকাঠামো এবং পরিস্থিতি নিজের চোখে খতিয়ে দেখতে তাঁর এই যাত্রা।
#নয়াদিল্লি: প্রবল শীতে অরুণাচল সীমান্তে পৌঁছে গেলেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত। ভারতীয় সেনার সামরিক প্রস্তুতি,পরিকাঠামো এবং পরিস্থিতি নিজের চোখে খতিয়ে দেখতে তাঁর এই যাত্রা। সেনা অফিসার হিসেবে নিজে দুর্গম এলাকায় সময় কাটিয়েছেন বলেই জানেন বাহিনীর প্রধান সেনাদের মধ্যে এলে আত্মবিশ্বাস কতটা বেড়ে যায়।সুবনসিরি উপত্যাকার ফরওয়ার্ড পোস্টে গিয়ে জওয়ানদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি তাঁদের উৎসাহ দেন সিডিএস। এই এলাকাটি আসলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা। স্পিয়ার কোরের জিওসি লেফটেন্যান্ট জেনারেল রানাপ্রতাপ কলিতা তাঁকে ওই এলাকায় বাহিনীর প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করেন। সেনাবাহিনী ছাড়াও আইটিবিপি এবং স্পেশাল ফ্রন্টিয়ার ফোর্স জওয়ানদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
অরুণাচলের দিবাং উপত্যকা এবং লোহিত সেক্টরে এই মুহূর্তে চিন সীমান্তে মোতায়েন রয়েছে প্রচুর সেনা। লাদাখে উত্তেজনা থাকলেও সেই উত্তেজনার রেশ অরুণাচলেও হতে পারে এমন সম্ভাবনা প্রবল। সিকিমেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে বাহিনীকে। বিপিন রাওয়াত জানান,"নিজের চোখে প্রস্তুতি দেখতে এসে মনে হচ্ছে আমাদের সেনাবাহিনী একশো শতাংশ প্রস্তুত। এই প্রবল ঠান্ডায় একমাত্র ভারতীয় সেনাই পারে সব রকম চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে। আমাদের বাহিনী কোনও হুমকিকে পরোয়া করে না। নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন আমরা। এরকম বাহিনীর সিডিএস হিসেবে গর্বিত। পৃথিবীর কোনও শক্তি ভারতীয় বাহিনীকে নিজেদের দায়িত্ব পালন এবং দেশের সীমানা সুরক্ষিত রাখা থেকে বিরত করতে পারবে না"।
উল্লেখ্য ভারত এবং চিন দুই দেশ নবম পর্যায়ের কমান্ডার লেভেল বৈঠকের কথা বললেও নির্ধারিত তারিখ জানা যায়নি। দুপক্ষই নিজেদের দাবিতে অটল। ভারত চাইছে স্ট্যান্ড অফ শুরু হওয়ার আগে যে অবস্থা ছিল সেই অবস্থা ফেরানো হোক এলএ সি -তে। অন্যদিকে চিনের দাবি দক্ষিণ প্যাংগং এলাকা থেকে সেনা সরাতে হবে ভারতকে। তবেই তাঁরা ভারতের প্রস্তাব নিয়ে ভাবনা চিন্তা করবে। পাশাপাশি চিন নিজেদের সেনার সাহায্যে প্রস্তুত রেখেছে ফাইটার জেট। পিছিয়ে নেই ভারত। উত্তরে লাদাখ থেকে শুরু করে পূর্বে অরুণাচল পর্যন্ত সব সময় সতর্ক রয়েছে ভারতীয় সেনা। বিমান বাহিনী নিজেদের প্রস্তুতি সেরে রেখেছে। কিন্তু বছরের শুরুতে ভারতীয় বাহিনীর প্রধানের এই ফরওয়ার্ড পোস্টে যাওয়া চিনকে হুঁশিয়ারি দেওয়ার বার্তা বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।