হোম /খবর /দেশ /
বাংলার প্রকল্প, অথচ দিল্লি হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে পড়ল 'লক্ষ্মীর ভান্ডার'?

Laxmir Bhandar: বাংলার প্রকল্প, অথচ দিল্লি হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে পড়ল 'লক্ষ্মীর ভান্ডার'?

লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে প্রশ্ন

লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে প্রশ্ন

Laxmir Bhandar: এই মামলায় প্রশ্ন তোলা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের 'পিএম কিসান নিধি', পশ্চিমবঙ্গ সরকারের 'লক্ষ্মীর ভান্ডার' এবং কংগ্রেস প্রস্তাবিত 'ন্যায়' প্রকল্পে সরাসরি আমজনতার অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো নিয়ে।

  • Share this:

#নয়াদিল্লি: দিল্লি হাইকোর্টে (Delhi High Court) এক জনস্বার্থ মামলায় প্রশ্নের মুখে কেন্দ্রীয় সরকারের 'কিসান নিধি' (Kisan Nidhi) প্রকল্প, এ রাজ্যের 'লক্ষ্মীর ভান্ডার' (Laxmir Bhandar) প্রকল্প এবং কংগ্রেসের প্রস্তাবিত 'ন্যায়' প্রকল্প। ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ১২৩ ধারা অনুযায়ী তথাকথিত 'দাতব্য রাজনীতি'-র সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে। আইনজীবীরা বলছেন, এই মামলায় প্রশ্ন তোলা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের 'পিএম কিসান নিধি', পশ্চিমবঙ্গ সরকারের 'লক্ষ্মীর ভান্ডার' এবং কংগ্রেস প্রস্তাবিত 'ন্যায়' প্রকল্পে সরাসরি আমজনতার অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো নিয়ে।

বলা হয়েছে, সাধারণের করের টাকা কোনও শারীরিক পরিশ্রম বা কোনও উৎপাদন মূলক কাজ ছাড়াই টাকা দেওয়া বেআইনি। উল্লেখ্য, দিল্লি হাইকোর্টে ২০১৯ সালে এই মামলা দায়ের করা হয়েছিল। মামলায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, জনগণের করের টাকায় রাজনৈতিক দলগুলি নির্বাচনী  স্বার্থে "দাতব্য রাজনীতি" করে চলেছে।

মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিএন প্যাটেল এবং জ্যোতি সিংয়ের ডিভিশন বেঞ্চ জাতীয় নির্বাচন কমিশন, কংগ্রেস এবং টিডিপি-কে তাদের বক্তব্য জানাতে নির্দেশ দিয়েছে। মামলাকারীর আইনজীবী সৌম্য চক্রবর্তী জানিয়েছেন, "এর আগে এস সুব্রহ্মণ্যম বালাজি বনাম তামিলনাড়ু সরকারের একটি মামলায় এই ধরনের দাতব্য রাজনীতিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। সর্বোচ্চ আদালতের সেই রায় অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচন কমিশন কি ব্যবস্থা নিয়েছে তা জানাতে বলা হয়েছে।" আইনজীবীর আরও বক্তব্য, পূর্ববর্তী সরকারের 'মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ আয় সুনিশ্চিত যোজনা'য় সাধারণ মানুষকে কাজ দিয়ে, সেই কাজের বিনিময়ে উপার্জনের বন্দোবস্তের কথা বলা হয়েছে। সরকার প্রয়োজন মনে করলে সেই প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়াতে পারে। কিন্তু তা না করে প্রতিবার নির্বাচনের আগে কোনওরকম উৎপাদনশীল বন্দোবস্ত বা শারীরিক পরিশ্রমের বিনিময়ে ছাড়াই নগদ টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখায়। যা সম্পূর্ণ সংবিধানবিরোধী। বেআইনিও বটে।

আরও পড়ুন: ভবানীপুরের জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুনিপুণ ছক! নজরে বাকি ২ কেন্দ্রও

যদিও এই মামলার সঙ্গে রাজনীতির কোন সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন আইনজীবী। পশ্চিমবঙ্গে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর 'লক্ষ্মী ভান্ডার' প্রকল্পে মহিলাদের মাসিক ৫০০ টাকা আর্থিক সাহায্যের বন্দোবস্ত করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এদিকে কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের বছরে তিন দফায় মোট ৬ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য করার জন্য 'পিএম কিসান নিধি' প্রকল্প চালাচ্ছে। গত লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে কংগ্রেসের তৎকালীন সভাপতি রাহুল গান্ধী 'ন্যায়' প্রকল্পে গরিবদের পরিবার পিছু মাসিক সাড়ে ৭ হাজার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

Published by:Suman Biswas
First published:

Tags: Laxmir Bhandar