বিয়েবাড়ি মানেই বিস্তর হ্যাপা আর একগাদা টাকার ধাক্কা। কয়েকশো নিমন্ত্রিত অতিথিদের পাত পেড়ে খাওয়ানো কি আর মুখের কথা! আর শুধু খাওয়ালেই তো হবে না, থাকতে হবে দেশি বিলিতি পানীয়ের স্বাদও। আর তার পরেই থাকবে সব চেয়ে কঠিন ব্যাপার। খাইয়ে-দাইয়ে অতিথিদের মুখে হাসি ফোটানো! নাহলে মাংসতে নুন কম আর মিষ্টিগুলো টক এই সব বদনাম শোনা! অতিথিদের মুখে হাসি ফুটলেও যিনি খরচ করছেন তাঁর মুখের হাসি মিলিয়ে যায় লম্বা বিল দেখে। তবে বিয়েবাড়ির নানা প্যাঁচপয়জার আছে। সেরকমই একটি ঘটনা Reddit-এ শেয়ার করেছেন একজন। যেখানে এক কনে ও তাঁর বাড়ির লোক বোকা বানিয়েছেন ছেলের বাড়ির লোকজনকে।
মে মাসের ২৯ তারিখে আর্টসি গার্ল (Artsy Girl) নামের এই ইউজার লেখেন যে ছেলের মায়ের কাছ থেকে তিনি এই ঘটনা শুনেছেন আর সেটাই শেয়ার করছেন। তবে এই দুঃস্বপ্নের মতো বিয়ের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত কোনও যোগাযোগ নেই।
ঘটনাটা হল এই রকম। কনে তাঁর বিয়েতে নিতকনে বা মেড অফ অনার হিসাবে বেছে নেন তাঁর হবু ননদকে। প্রথা অনুযায়ী কনের তিন দিন ধরে উদযাপন করা ব্যাচেলর পার্টির যাবতীয় খরচ দিতে হবে ওই বেচারি ননদকেই। ননদের কাছে এত টাকা না থাকায় হবু শাশুড়ি খরচের বিষয়টা সামলে নেন। কিন্তু ছেলের মা জানান পার্টির পুরো খরচ দেওয়ার পরেও তাঁকে পার্টিতে আমন্ত্রন জানাননি তাঁর হবু বউমা। কিন্তু নিজের মাকে দিব্যি সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছেন তিনি।
শাশুড়ি মায়ের দুঃখের শেষ নেই। পার্টিতে আমন্ত্রিত হওয়া তো দূর অস্ত। তিনি জানান যে এত কিছু করার পর সামান্য ধন্যবাদটুকুও জোটেনি তাঁর কপালে। মেয়ের বাড়ি থেকে কেউ এসে তাঁকে কিছু বলেননি। চার্চের খরচ ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ সব মিলিয়ে দশ হাজার ডলার খরচ করেছেন তিনি।
প্রায় ২০০ জন নিমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য বরাদ্দ ছিল মাত্র এক টুকরো চিকেন আর বিয়ের কেক। আর এটা শুনেই আঁতকে ওঠেন ছেলের মা। তিনি ক্যাটারারকে সত্যিকারের বিয়ের মতো খাবার পরিবেশন করতে বলেন।
এই ঘটনা পড়ে অনেকেই দুঃখপ্রকাশ করেন ছেলের মায়ের জন্য। একজন নেটিজেন প্রশ্ন করেন যা কিছু ঘটেছে সেটা ছেলেটি জানে কি না!
তবে এই ঘটনার অন্য একটি দিক আছে বলেও অনেকে অনুমান করেছেন। অনেকেই বলেছেন যে ছেলের মা ইচ্ছে করে গোটা অনুষ্ঠানের আর্থিক বোঝা নিয়েছেন যাতে সব কিছু তাঁর নিয়ন্ত্রণে থাকে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।