#গুরুগ্রাম: যৌন নিগ্রহে বাধা দেওয়াতেই খুন হতে হল রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রকে। জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেছে স্কুলবাসে কন্ডাক্টর অশোক কুমার। গতকাল সুযোগ বুঝে বাথরুমে অপেক্ষা করছিল সে। টার্গেট ছিল যে কোনও স্কুল শিশু। ঘটনাচক্রে তার জালে পড়ে যায় দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়া। তাকে যৌন নিগ্রহ করতে গেলে বাধা পায় অশোক। তখনই রাগে হাতে থাকা ছুরি দিয়ে তার গলা ও ডান কান কেটে দেয় অশোক কুমার। এদিকে ঘটনার পর আজও উত্তপ্ত গুরুগ্রামের রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল চত্ত্বর। স্কুলের বিরুদ্ধে অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভে সরব অভিভাবকরা। ধৃতের কঠোর শাস্তির দাবিতে পুলিশ কমিশনারের দ্বারস্থ নিহত শিশুর বাবা।
শুক্রবার গুরুগ্রামের রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শৌচালয়ে পড়ুয়ার রক্তাক্ত দেহ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় স্কুলে । ক্ষোভে স্কুলে ভাঙচুর চালায় অভিভাবকরা। সাত বছরের পড়ুয়ার গলায় আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। দেহের পাশে মিলেছে একটি ছুরিও। শুক্রবার সকালে স্কুলের এক ছাত্র শৌচালয়ে গিয়ে ঘটনা দেখতে পায়। শিক্ষক-শিক্ষিকা ও স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানায় ওই ছাত্র। স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ।
অভিভাবকদের দাবি, অধিকাংশ সিসিটিভিই কাজ করে না। ওই শৌচালয় স্কুল বাস চালক ও কনডাক্টররাও ব্যবহার করতেন। স্কুলে নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। পুলিশ কয়েকজন অভিভাবককে আটক করে। ঘটনার পর থেকে খোঁজ নেই প্রিন্সিপালের। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে স্কুলের বসন্ত কুঞ্জের ব্রাঞ্চে জলের ট্যাঙ্ক থেকে ছ'বছরের পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হয়।