হোম /খবর /দেশ /
জেলায়-জেলায় ক্ষোভ থামবে কীভাবে, নাড্ডার বৈঠক সেরে মোদির মুখে দিলীপরা?

জেলায়-জেলায় ক্ষোভ থামবে কীভাবে, নাড্ডার বৈঠক সেরে মোদির মুখে দিলীপরা?

বিজেপির বৈঠক

বিজেপির বৈঠক

মঙ্গলবারও পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় রাতেই বিশেষ বিমানে রাজ্যে নেতাদের ডেকে পাঠানো হয় দিল্লিতে। বুধবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার বাড়িতে প্রার্থী নিয়েই ম্যারাথন বৈঠকে বসেছেন দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়রা।

  • Last Updated :
  • Share this:

#কলকাতা: রাজ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি তুঙ্গে। প্রচার ময়দানে প্রতিপক্ষকে এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়তে নারাজ তৃণমূল-বিজেপি কেউই। ইতিমধ্যেই ২৯১টি আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে বাকিদের কিছুটা পিছনে ফেলে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাথমিক স্তরে প্রার্থী নিয়ে কর্মীদের ক্ষোভ সামলেও নিয়েছে শাসক দল। কিন্তু বিজেপি এখনও পর্যন্ত চার দফা ভোটের প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করতেই ব্যাপক প্রতিবাদ শুরু হয়েছে কলকাতা থেকে জেলা-সর্বত্রই। সেই ক্ষোভ উত্তোরত্তর বাড়ছে। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে, যখন বিজেপির প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে প্রার্থীতালিকা নিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে মুকুল রায়, শিবপ্রকাশ, অর্জুন সিং, সব্যসাচী দত্তদের। এমনকী আত্মহত্যার হুমকিও দিয়েছেন দলীয় কর্মীরা। পরিস্থিতি দেখে সোমবার রাতে গুয়াহাটি গিয়েও কলকাতা ফিরে আসেন অমিত শাহ। রাজ্য বিজেপির নেতাদের সঙ্গে গভীর রাতেই সারেন তিনি। এরপর মঙ্গলবারও পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় রাতেই বিশেষ বিমানে রাজ্যে নেতাদের ডেকে পাঠানো হয় দিল্লিতে। বুধবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার বাড়িতে প্রার্থী নিয়েই ম্যারাথন বৈঠকে বসেছেন দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়রা। সূত্রের খবর, এদিন সন্ধ্যাতেই বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটির বৈঠকে হাজির থাকতে পারেন স্বয়ং নরেন্দ্র মোদি। অর্থাৎ, বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে মোদির প্রশ্নের মুখেও পড়তে হতে পারে দিলীপদের।

বিজেপির অন্দরের খবর, দলের প্রার্থীতালিকা নিয়ে যেভাবে দিকে-দিকে বিক্ষোভ চলছে, তাতে যথেষ্ট বিড়ম্বনায় দলের শীর্ষ নেতৃত্বও। দলীয় কর্মীদের এই ক্ষোভের আঁচ কেন আগে থেকে আন্দাজ করা যায়নি, তা নিয়েও রাজ্য নেতাদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। সেই বিষয়েই বুধবার সকাল দশটায় দিলীপ ঘোষদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন জেপি নাড্ডা। আর সেই বৈঠকের পরই মোদির মুখোমুখি হতে পারেন মুকুল রায়রা।

বাংলায় এসে সভা করে অসমে চলে গিয়েও প্রার্থী অসন্তোষ নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে রাজারহাটের একটি পাঁচতারা হোটেলে সোমবার রাতেই বৈঠকে বসেন অমিত শাহ। আসেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও। বাংলায় যেখানে ২০০ আসন পাওয়ার দাবি করছেন শাহরা, সেখানে দলের এই পরিস্থিতি দেখে চিন্তিত শীর্ষ নেতৃত্ব। দলীয় নেতাদের উদ্দেশে তাঁদের পরামর্শ, প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা মেটাতে হবে। তবে, বিজেপি নেতাদের সমস্যা মেটানোর সময়ও বেঁধে দিয়েছেন অমিত শাহ। পাশাপাশি পর্যালোচনা চলছে প্রথম দুই দফার আসন নিয়েও। কিন্তু বুধবার রাজ্যের নানা প্রান্তেই বিজেপি কর্মীদের ক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এবার একেবারে দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদির সামনে রাজ্যের পরিস্থিতি ব্যক্ত করতে হতে পারে বিজেপি নেতাদের।

মাত্র চার দফার (তাও সম্পূর্ণ নয়) প্রার্থীতালিকা ঘোষণা হতেই দলের অভ্যন্তরীণ ক্ষোভ যে পর্যায়ে পৌঁছেছে, তাকে রীতিমতো গুরুত্ব দিয়ে দেখতেই হচ্ছে অমিত শাহদের। পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন হলেও বাংলাই যে বিজেপির কাছে পাখির চোখ, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে গোষ্ঠী কোন্দলের কারণে দলের স্বপ্ন অধরা থাকলে, তা বিজেপির কাছে বিরাট ক্ষতির হতে পারে বলেই মত রাজনৈতিক মহল।

Published by:Suman Biswas
First published:

Tags: BJP, Dilip Ghosh, JP Nadda, West Bengal Assembly Election 2021