#ভুবনেশ্বর: ওড়িশা বিধানসভায় শুক্রবার আত্মহত্যা করার প্রচেষ্টা করেন দেওগড়ের বিজেপি বিধায়ক সুভাষ পানিগ্রহী (Subash Panigrahi ) সরকার কৃষকদের ধান কেনার ইস্যুতে আলোচনা করতে চাইছে না বলেই প্রতিবাদ স্বরূপ আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। এদিন ধান কেনা ইস্যুতে তুমুল হাঙ্গামা হয় বিধানসভায়। এরপর রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী যখন বিধানসভায় সরকারের ধান কেনা নিয়ে বয়ান দিচ্ছিলেন, তখন বিজেপির বিধায়ক স্যানিটাইজার খেয়ে আত্মহ্যার চেষ্টা করেন।
চিকিৎসকরা পানিগ্রাহীর প্রাথমিক পরীক্ষা করে জানান, সুস্থ এবং স্থিতিশীল আছেন। তবে, ক্ষমতাসীন বিজু জনতা দলের (বিজেডি) প্রবীণ সদস্য এবং বালাসোর জেলার ভোগারাই আসনের বিধায়ক অনন্ত দাস এই প্রসঙ্গে বলেন, “বিধায়কদের এই কাজটি মেনে নেওয়া যায় না”।
বিজেপি ও কংগ্রেসের বিধায়করা বাজেট অধিবেশনের শুরুতেই সদনে তুমুল হাঙ্গামা শুরু করেন। এরপর বিধানসভার অধ্যক্ষ এনএন পাত্রা রাজ্যের মন্ত্রীকে সদনে কৃষকদের ধান নিয়ে বয়ান দিতে বলেন। সদনের আলোচনা দুবার স্থগিত হয়ে যাওয়ার পর বিকেল চারটে নাগাদ যখন খাদ্য মন্ত্রী বয়ান দেওয়া শুরু করেন, তখনই বিজেপির বিধায়ক সুভাষ চন্দ্র নিজের আসনে দাঁড়িয়ে স্যানিটাইজারের বোতল নিজের পকেট থেকে বের করে সেখান থেকে স্যানিটাইজার পান করার চেষ্টা করেন।
বিজেপির অন্য বিধায়করা সুভাষ চন্দ্রকে কোনওভাবে আটকাতে সক্ষম হয়। বিজেপির বিধায়ক সুভাষ চন্দ্র বলেন, ‘আমি এর আগেও এই ইস্যুতে আত্মহত্যা করার হুমকি দিয়েছিলাম। কিন্তু সরকার কৃষকদের সমস্যা নিয়ে কর্ণপাত করার কোনও স্বদিচ্ছা দেখায়নি। আমার বিধানসভা এলাকায় অনেক কৃষক আত্মহত্যা করার হুমকি দিয়েছে। এই কারণে আমি নিজে বিধানসভার মধ্যে স্যানিটাইজার পান করার সিদ্ধান্ত নিই।” বিজেপির বিধায়ক বলেন, রাজ্য সরকার কৃষকদের স্বার্থে কাজ করার জন্য বড়বড় প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি কোনদিনও কাজে বদলায় না। তিনি এও বলেন, আমার কাছে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়া কোনও বিকল্প ছিল না।"