হোম /খবর /দেশ /
রাজধানীতে বনধে একজোট কৃষকরা || কেন্দ্রকে ভাবাচ্ছে ৩ সম্ভাবনা

রাজধানীতে একজোট কৃষকরা || শুরু রেল রোকো-রাস্তা অবরোধ, কেন্দ্রকে ভাবাচ্ছে ৩ সম্ভাবনা

শুরু শক্তি প্রদর্শন। বনধ নিয়ে মাথায় ভাঁজ কেন্দ্রের।

শুরু শক্তি প্রদর্শন। বনধ নিয়ে মাথায় ভাঁজ কেন্দ্রের।

প্রথম থেকে গা ছাড়া মনোভাব দেখালেও এই অচলাবস্থা ছিল প্রায় অকল্পনীয়, আজ মঙ্গলবার তাই কেন্দ্রের চ্যালেঞ্জ সুষ্ঠুভাবে বনধ পরিস্থিতি সামাল দেওয়া।

  • Last Updated :
  • Share this:

#নয়াদিল্লি: প্রায় তিনমাস নয়া কৃষি আইন নিয়ে বিরোধিতায় সরব থাকার পর অবশেষে ভারত বনধের পথে হাঁটলেন রাজধানীতে জড়ো হওয়া কৃষকরা। দিল্লিতে পঞ্জাব হরিয়ানার হাজার হাজার কৃষকের পাশাপাশি দড়ো হয়েছেন উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের কৃষকরা। তাদের দাবি গত ২৭ ডিসেম্বর পাশ হওয়া তিনটি কৃষক আইনই প্রত্যাহার করতে হবে। প্রথম থেকে গা ছাড়া মনোভাব দেখালেও এই অচলাবস্থা ছিল প্রায় অকল্পনীয়, আজ মঙ্গলবার তাই কেন্দ্রের চ্যালেঞ্জ সুষ্ঠুভাবে বনধ পরিস্থিতি সামাল দেওয়া।

তিনটি মাথাব্যথা

কেন্দ্র মূলত তিনটি পরিস্থিতির জন্য তৈরি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সিঙ্ঘু ও টিকরি সীমান্তে কয়েকজন নেতা যেতে পারেন। গাজিপুর. চিল্লা এবং নয়ডা বর্ডার অস্থির হতে পারে। সেই কথা মাথায় রেখেই তৈরি হয়েছে বাহিনী। রাখা রয়েছে ৯০ কোম্পানি প্যারামিলিটারি, বহু অ্যআম্বুলেন্স। দ্বিতীয় মাথাব্যথা যদি কৃষকরা প্রধানমন্ত্রীর অফিসের দিকে রওনা হন। আগেভাগেই প্রতিটি সংশ্লিষ্ট রাজ্যকে বনধ শান্তিপূর্ণ ভাবে করার বার্তা দিয়ে রেখেছে। কিন্তু সূত্রের খবর কৃষকরা অনেকেই চান, এমন কিছু করতেতাৎপর্যপূর্ণ। ভাবাচ্ছে টাকার জোগান এবং আরও বেশি লোকের আমদানি। সেক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা ধরে রাখা চ্যালেঞ্জ হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি কর্তা বলছিলেন, ২০০ কোটি টাকা পর্যন্ত খরচ হয়েছে নানা জায়গার মানুষকে একজোট করতে। সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত চলবে চাক্কা জ্যাম।

বনধের সকালের প্রথম ছবি

এই মুহূর্তে বনধ শুরু হওয়ার পর থেকে বন্ধ টিকরি, ঝরোদার মকো সীমান্তবর্তী অঞলের গাড়িচলাচল।চলছে শুধু দু চাকার যান। দিল্লি ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে খবর পুরোপুরি বন্ধ সিঙ্ঘু, পিয়াও মানিয়ারি, মঙ্গেশ বর্ডারে গাড়িচলাচল।দুই দিক থেকেই গাড়িচলাচল বনধ। হাই অ্যালার্ট জারি রয়েছে উত্তর প্রদেশে।

প্রেক্ষাপট

গত ২৭ সেপ্টেম্বর কেন্দ্র তিনটি কৃষিবিলকে আইনে পরিণত করে। এর মধ্যে রয়েছে অত্যাবশ্যক পণ্য আইন, যেখানে যুদ্ধ পরিস্থিতি বাদ দিয়ে ক কর্পোরেটরা সব সময়েই যত ইচ্ছে মজুত করতে পারবে আলু, ডাল বা অন্যান্য দানাশস্য। রয়েছে খামার চুক্তি পরিষেবা আইন, সেখানে চুক্তিচাষকে মান্যতা দেওয়া বলেও চাষি কী ভাবে ন্যয্য মূল্য পাবেন তা বলা নেই। এছাড়া রয়েছে কর্পোরেট বা ব্যবসায়ীর কাচে কৃষকরের ফসল বিক্রির আইন। মাণ্ডি থেকে ফসল কিনতে হলে যে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দেওয়া হত, তার কথা বলা নেই এই আইনে। কৃষকদের দাবি এই আইনগুলি প্রত্যাহার করতে হবে।

Published by:Arka Deb
First published:

Tags: Bharat Bandh, Bharat Bandh 2020, Farmers’ strike, Firm Law, Protest Against Firm law