#বেঙ্গালুরু: বর্ষার মেঘেরা বিদায় নিয়েছে..এখন বহুতল অফিস বিল্ডিংয়ের জানলা দিয়ে বাইরে তাকালেই..আকাশে ঝকঝকে রোদ সঙ্গে পেঁজা তুলোর মত মেঘের আনাগোনা। তা দেখে কোন বাঙালি আর কোডিং টেস্টিংয়ে মন বসাতে পারে! পুজো এসে গেলো যে! আমার প্রাণের শহর থেকে প্রায় দু-হাজার কিলোমিটার দূরের শহর বেঙ্গালুরুর কিন্তু শারদীয়া আসে একই আনন্দ আর উচ্ছ্বাস নিয়ে।
কোভিড-১৯ প্যানডেমিক এই দেশে আছড়ে পড়ার আগে..অর্থাৎ ২০১৯ অবধিও বেঙ্গালুরুতে প্রায় পনেরোটি বড় সার্বজনীন পুজোর সঙ্গে সঙ্গে একাধিক আবাসনেও করা হত দুর্গাপুজোও। করোনার জন্য বর্তমানে বেশিরভাগ বাঙালিই বেঙ্গালুরু ছেড়ে পাড়ি দিয়েছেন বাংলায়। তাই অন্যান্য বছরগুলির তুলনায় পুজোর জাঁকজমক গতবছর কিছুটা ম্লান হলেও এই বছর কিন্তু পিছিয়ে নেই বেঙ্গালুরুর বড় পুজোগুলির উদ্যোক্তারা। তা সে মান্যতা টেক পার্কের ম্যানফোর পুজোই হোক..বা কোরমাঙ্গলার সারথি অথবা এইচ এস আর লে-আউটের বর্ষা..শেষ মুহুর্তের ব্যস্ততা তুঙ্গে সব কটি প্যাণ্ডেলেই। তারমধ্যেই বোধনের সন্ধ্যায় প্যান্ডেলে উপচে পড়ল ভিড়।
আরও পড়ুন: কলকাতার আগেই মায়ের বোধন কানাডায়, সাজো সাজো রব টরেন্টো জুড়ে
HSR লে আউটের BARSHA-র পুজো এ বার কোভিডবিধি মাথায় রেখে সম্পূর্নরুপে গ্রুপ সদস্যদের জন্য সীমিত। কিন্তু তার পরও এ বার পুজোয় চমক দিতে BARSHA হাজির তাদের থিম "Where Rural Bengal Meets Rural Karnataka" নিয়ে। পুজোর নির্ঘন্ট মেনেই সদস্যদের জন্য ব্যবস্থা থাকছে আরতি..পুষ্পাঞ্জলি এবং ভোগেরও। কিন্তু সাধারণ দর্শনার্থীদেরও নিরাশ করেনি বেঙ্গালুরুর এই বিখ্যাত পুজোটি। সপ্তমী এবং অষ্টমীর নির্ধারিত সময়ে কোভিডবিধি মেনে মায়ের দর্শন করতে পারবেন সাধারন দর্শনার্থীরা।
আরও পড়ুন: আলমারি থেকে নেমেছে শাড়ি-পাঞ্জাবি, মা দুর্গার আরাধনায় কোমর বাঁধছেন অস্ট্রেলিয়ার পার্থের বাঙালিরা
পিছিয়ে নেই ইন্দিরানগরের সোশিও কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন বা কাদুগোড়ির EBCA -ও। এখানেও স্লট বুকিংয়ের মাধ্যমে সাধারণ দর্শনার্থীরা দর্শন করতে পারবেন মা'কে। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করা হবে অনলাইনে যা দেখার সুযোগ মিলবে বাড়িতে বসেই। করোনাভাইরাসের প্রকোপে পুজোতে ভোগ খাওয়ার সুযোগ না হলেও এই মুহূর্তগুলোই বা কম কিসে!
আরও পড়ুন: শপিং-পুজোর আয়োজন শেষের পথে, শিউলির সুবাস সঙ্গে নিয়ে 'মা' আসছেন টেক্সাসে
যেহেতু বেঙ্গালুরুর দুর্গাপুজোর সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে আছে বাঙালি খাওয়া দাওয়া অথচ প্রতিবছরের মত এবারে বিখ্যাত বাঙালি রেস্তোরাঁগুলি তাদের জিভে জল আনা খাবারের পসার বসানোর ছাড়পত্র পায়নি কোভিডবিধির কারনে..সেই সমস্যাকে মাথায় রেখে প্রতিটি পুজো সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য আয়োজন করেছে আনন্দমেলার যেখানে বিভিন্ন স্বাদের খাবার চাখার সাথে সাথে থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করারও সুযোগ।
করোনা আবহে এই বছর জয়মহলের খিচুড়ি-লাবড়া মিস হলেও বা ম্যানফো থেকে শুরু করে শারজাপুর অবধি প্যান্ডেল হপিংয়ে বাধানিষেধ থাকলেও বেঙ্গালুরুর পুজো কমিটিগুলি তৈরি ভিনরাজ্যের বাঙালিদের পুজোর মজা পুরোমাত্রায় উপভোগ করাতে।
(লেখিকা সূর্য্যানী ভট্টাচার্য কর্মসূত্রে বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা)
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bengaluru, Durga Puja 2021