#নয়াদিল্লি: নবরাত্রি উপলক্ষে মাছ, মাংসের দোকান বন্ধ রাখার পরোক্ষ নির্দেশ দিয়েছে দক্ষিণ দিল্লি পুর নিগম। সেই 'নির্দেশ' ঘিরেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। দক্ষিণ দিল্লি পুর নিগমের আওতাতেই রয়েছে চিত্তরঞ্জন পার্ক এলাকা। এই জায়গাটিকে মিনি কলকাতা বলা হয়।
বাঙালি বাসিন্দাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় প্রবাসে বাঙালি সংস্কৃতি বজায় রেখেছে চিত্তরঞ্জন পার্ক। দক্ষিণ দিল্লির পুর নিগমের নির্দেশিকা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চিত্তরঞ্জন পার্ক এলাকার ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা। কারণেই এই এলাকাতে বাস করেন প্রচুর পরিমাণে মাছ ব্যবসায়ী। তাঁদের অভিযোগ, প্রতিদিনই পুরনিগমের লোকেরা এসে বাজার বন্ধ করতে বলছেন।
আরও পড়ুন: 'ভয়াবহ দিন আসছে, কেউ ভাবতে পারছে না!' শ্রীলঙ্কার উদাহরণ দিয়ে দাবি রাহুলের
সন্ধ্যায় চিত্তরঞ্জন পার্কের এক এবং দু' নম্বর বাজারে ঘুরে দেখা গেল মাছের বাজার যথেষ্টই সচল। খুব ভিড় না থাকলেও ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয় পক্ষই ব্যস্ত। মাছ কেনাকাটা করতে দেখা গেল অনেককে। মাছ বাজারে আসা ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলতে তাঁরা জানালেন, কে কী খাবেন, তা কেউ ঠিক করে দিতে পারে না। সেটা একান্তই তার নিজের রুচি উপরে নির্ভর করে।
দক্ষিণ দিল্লির পুর নিগমের মেয়র মুকেশ সুরিয়ার বলেছেন, "মানুষের একটা ভাবাবেগ রয়েছে। নবরাত্রিতে বাড়িতে মাছ মাংস পেঁয়াজ রসুন ঢোকে না। সেই মতই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।"
আরও পড়ুন: দশ টাকা পিস পাতি লেবু! দাম শুনে গরমে আরও কাহিল ক্রেতারা, দেখুন ভিডিও
নবরাত্রিতে দক্ষিণ দিল্লির পুর নিগমের পক্ষ থেকে জারি করার নির্দেশিকা নিয়ে ভিন্নমত রাজনৈতিক মহলের। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র ট্যুইটারে লিখেছেন, "আমি দক্ষিণ দিল্লির পুর নিগমের এলাকায় বাস করি। সংবিধান আমায় নিজের ইচ্ছামতো মাংস খাওয়ার স্বাধীনতা দিয়েছে। ব্যবসায়ীকেও মাংস বিক্রি করার স্বাধীনতা দিয়েছে। "
কংগ্রেসের লোকসভার নেতা অধীর চৌধুরী জানিয়েছেন, কে কী খাবেন, তা ঠিক করে দিতে পারে না সরকার৷ এটা সম্পূর্ণ বেআইনি সিদ্ধান্ত। বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি এবং সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেছেন, "নবরাত্রি কোনও একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের বিষয় নয়। প্রধানমন্ত্রী নিজে যখন বিদেশে গিয়েছেন তিনি উপবাস করেছেন। নবরাত্রি যাঁরা পালন করেন তাঁদের ভাবাবেগের কথা মাথায় রেখে কয়েকদিন মাছ-মাংস প্রকাশ্যে বিক্রি না করলে অসুবিধাটা কোথায়?"
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।