#বেঙ্গালুরু: কে বলে মানুষ এখন নিজের মতো থাকতে শিখেছে, নিজেরটা গুছিয়ে নিতে শিখেছে, অপরের কথা ভাবতে ভুলে গিয়েছে! অতিমারীর সময় সর্বস্তর থেকে মানুষ যেভাবে অসহায়, সাধারণ মানু্ষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাতে সে কথা বারবারই মিথ্যে প্রমাণিত হয়েছে। সে কথা মিথ্যে প্রমাণ করলেন বেঙ্গালুরুর এক পুলিশ অফিসার। যাতে পরিযায়ী শ্রমিকদের সন্তানেরা পড়াশোনায় বিন্দুমাত্র পিছিয়ে না পড়ে, সেই কারণে তিনি পড়াতে শুরু করেছেন। অতিমারীর কারণে স্কুল, কোচিং সেন্টার সব বন্ধ। তাই পড়াশোনা অনেকেরই শিকেয় উঠেছে। যাতে সত্যিই পড়াশোনায় ভাঁটা না পড়ে, সেই কারণে রোজ সকাল সাতটায়, ডিউটিতে রিপোর্ট করার আগে সানথাপ্পা জাদেমান্যবর অন্নপূর্ণেশ্বরী নগরের পিছিয়ে পড়া বাচ্চাদের কাছে পৌঁছে যান। সেখানে ৩০ জন শিশুকে নিজে হাতে পড়ান তিনি। ডিউটি শুরু হওয়ার একঘণ্টা আগে। এটাই এখন তাঁর রোজকার রুটিন।
Bengaluru: Shanthappa Jademmanavr, Sub-Inspector, Annapurneshwari Nagar, teaches children of migrant workers who don't have access to smartphones, laptops to attend online classes, before reporting for police duty#Karnataka pic.twitter.com/o2pwojCrEK
— ANI (@ANI) September 8, 2020
শেষ ২০ দিন ধরে বাচ্চাদের পড়াচ্ছেন তিনি। তিনি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘এই বাচ্চাদের বেশিরভাগই লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে শিক্ষা থেকে অনেকটা দূরে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। কারণ, এঁদের অনেকেরই অনলাইন ক্লাস করার ক্ষমতা নেই। সেই কারণে, এরা যাতে আর পিছিয়ে না পড়ে, যাতে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে, তাই আমি এদের একটু সাহায্য করছি মাত্র। আমি জানি বেশিরভাগ পরিযায়ী শ্রমিক আসেন উত্তর কর্ণাটকের জেলা যেমন বল্লরী, কোপ্পাল, গাদাগ ইত্যাদি থেকে। আমি জানি পরিযায়ী শ্রমিকদের অবস্থা কেমন থাকে। আমার কাকাও একজন পরিযায়ী শ্রমিক ছিলেন। ১০ বছর তিনি কাজ করেছেন। একটা ছোট্ট কুঁড়ে ঘরে থাকতেন। ফলে আমি সবটা আন্দাজ করতে পারি। তাই আমি এখন ওই বাচ্চাদের শিক্ষায় বিনামূল্যে সাহায্য করতে এগিয়েছে এসেছি।’
এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে কর্ণাটকের শিক্ষামন্ত্রী এস সুরেশ কুমার বলেছেন, ‘আমি গর্বিত ওই পুলিশ অফিসারের জন্য। অনেক সময়েই বাজে কাজের কারণে পুলিশকর্মীরা খবরের শিরোনামে আসেন। তবে এক্ষেত্রে ঘটানাটা উল্টো। এই ধরনের খবর নিশ্চিত ভাবে মানু্ষের মনে পুলিশের সম্পর্কে ধারণা অনেক পাল্টে দেবে।