#কর্ণাটক: ১৪ মাসের শিশু কন্যা বিরল রোগে আক্রান্ত। চিকিৎসার জন্য দরকার ১৬ কোটির ওষুধ। কিন্তু দুবাইতে চাকরি করা বাবা মহম্মদ বাসিলের কাছে এত টাকা কোথায়? সারা জীবন কাজ করেও এত টাকা জোগাড় করতে পারতেন না তিনি। যদিও বা করেও নিতেন ততদিন কি তাঁর ছোট্ট মেয়ে ফাতিমা বেঁচে থাকত? এসব প্রশ্ন যখন মাথায় ঘুরছে তখনই মিরাকেল হল বাসিলের জীবনে।
ফাতিমা যে রোগে আক্রান্ত তাঁর নাম spinal muscular atrophy (SMA)। এটি এমন একটি রোগ যা বংশ থেকেই আসে। তবে এই রোগেই আক্রান্ত হয়ে এর আগে মারা গিয়েছে বাসিলের ছেলে। এরপর তাঁদের দ্বিতীয় সন্তান ফাতিমা হয়। ফাতিমার জন্মের পর থেকেই ভয়ে ভয়ে ছিলেন বাসিল ও তাঁর স্ত্রী। তাঁদের ভয় সত্যিতে পরিণত হয়। ৬ মাস বয়সে একটি টেস্টের মাধ্যমে এই রোগ ধরা পড়ে। যার ফলে ফাতিমার মেরুদন্ড সোজা হয় না। এমনকি হাঁটতে পারে না সে। নিজের হাত, মাথা সোজা রাখতে পারে না। অবশের মতো হয়ে থাকে শরীর। সঠিক ওষুধ না দিতে পারলে মৃত্যু হয়। এর পর কর্ণাটকের বাসিন্দা বাসিল একটি লটারির খবর পান।
একটি স্বাস্থ্য সংস্থা লটারির মাধ্যমে একজন লাকি উইনারকে এই বিরল রোগের ওষুধ দেবে। যার দাম ১৬ কোটি। বাসিল মেয়েকে নিন যান। এবং রক্ত পরীক্ষার পর মেয়ের নাম নথি্যুক্ত করেন লটারির জন্য। এর পর দু'মাস আগে ওই সংস্থা থেকে বাসিলের কাছে ফোন আসে, যে ফাতিমা সেই লাকি বিজেতা যাকে ওই ১৬ কোটির ওষুধ দেওয়া হবে। যার জন্য জিএসটি দিতে বলে হয়েছিল। কিন্তু তার পরিমাণ এত যে সেটাও মুকুব করে দেওয়া হয়। এরপর ফাতিমাকে বেঙ্গালুরুর এক হাসপাতাল থেকে এই লটারিতে জেতা ১৬ কোটির ওষুধ দেওয়া হয়। এবং প্রাণে বাঁচে খুদে।
বাসিল জানিয়েছেন, "আমি স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি আমার মেয়েকে বাঁচাতে পারব। এভাবে লটারিতে ওষুধ পাব কখনও ভাবিনি। আমার মেয়ে এখন হাঁটতেও পারছে।" এরপর বাসিল আরও জানান, 'ফাতিমার মতো আরও অনেক শিশু এই রোগে আক্রান্ত। কিন্তু এই ওষুধ কেনা সাধ্যের বাইরে।' সেই সব শিশুদের কথা ভেবে ভারাক্রান্ত হন বাসিল। তবে ছেলের মতো তাঁকে মেয়েকে হারাতে হয়নি ভেবেই আপাতত শান্তিতে আছেন বাসিল ও তাঁর পরিবার।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।