#নিউইয়র্ক : করোনা আক্রান্ত অন্তঃসত্ত্বা ও তাঁর পরিবারের ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও স্বস্তির খবর। কারণ এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত অন্তঃসত্ত্বাদের থেকে জন্ম নেওয়া শিশুর মধ্যে করোনার গুরুতর সংক্রমণের সম্ভাবনা খুবই কম। সম্প্রতি এমনই তথ্য জানাচ্ছে এক সমীক্ষা। JAMA Network Open জার্নালে প্রকাশিত এই সমীক্ষার তরফে জানানো হয়েছে, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় করোনা আক্রান্তের ৯৫ শতাংশের ক্ষেত্রেই সদ্যোজাতর উপর করোনার তেমন কোনও প্রভাব দেখা যায় না।
এই বিষয়ে অ্যামেরিকার UT সাউথওয়েস্টার্ন মেডিকেল সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত ও সমীক্ষার লেখক এমিলি অধিকারী জানিয়েছেন, সমীক্ষার অন্তর্গত সমস্ত মহিলার মধ্যে মাত্র পাঁচ শতাংশের ক্ষেত্রেই গুরতরভাবে করোনার উপসর্গ ও অসুস্থতা দেখা গেছে। এছাড়া, অধিকাংশ মহিলাই উপসর্গহীন বা মৃদু উপসর্গের। এক্ষেত্রে সদ্যোজাত শিশুর ক্ষেত্রে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা খুব কম। কারণ মাত্র তিন শতাংশ কেসেই ভ্রূণের মধ্য দিয়ে করোনা সংক্রমণের বিষয়টি লক্ষ্য করা গেছে।
বিশদে গবেষণা করার জন্য প্রায় ৩,৩৭৪ জন মায়ের উপর সমীক্ষা করা হয়েছে। এদের মধ্যে মার্চ থেকে আগস্ট পর্যন্ত সময়কালে অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন মোট ২৫২ জনের শরীরো করোনা ভাইরাস ধরা পড়ে। তবে এই ২৫২ জন করোনা আক্রান্ত মহিলার মধ্যে ৯৫ শতাংশেরই তেমন কোনও উপসর্গ দেখা যায়নি। শুরুর দিকে অনেকের অল্পবিস্তর উপসর্গ ছিল। অনেকে আবার উপসর্গহীন ছিল। শুধু ছয়-সাতজন গুরুতরভাবে করোনা আক্রান্ত হন। তাঁদের শরীরে নিউমোনিয়ার সংক্রমণও দেখা যায়।
এবার করোনা আক্রান্ত ও সুস্থ মায়েদের মধ্যে একটি তুলনা করা হয়। এক্ষেত্রে, প্রসবের সময় তেমন গুরুতরভাবে করোনার উপসর্গ দেখা যায়নি। এমনকি প্রি-টার্ম বার্থ, প্রি-এক্ল্যামসিয়া বা সেসারিয়ান ডেলিভারির ক্ষেত্রেও তেমনভাবে প্রভাব ফেলতে পারেনি করোনা। সমীক্ষার সঙ্গে যুক্ত গবেষকরা জানাচ্ছেন, প্রি-টার্ম বার্থের সঙ্গে অন্তঃসত্ত্বাদের শারীরিক অসুস্থতার একটি যোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে গর্ভবতী অবস্থায় থাকাকালীন সাধারণত ৩৭ নম্বর সপ্তাহে পৌঁছানোর আগে যদি কোনও অন্তঃসত্ত্বা গুরুতর সংক্রমণ বা অসুস্থতার শিকার হন, তাহলে তাঁদের ক্ষেত্রেই প্রি-টার্ম বার্থের সর্বাধিক প্রবণতা দেখা গেছে।
সমীক্ষা জানাচ্ছে, অন্তঃসত্ত্বাদের ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটু বিষয়। কারণ এই ডায়াবেটিস করোনায় আক্রান্ত হওয়া বা অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই সাবধানতা অবলম্বন জরুরি। তবে গবেষকদের কথায়, প্রসূতির পাশাপাশি শিশুর স্বাস্থ্যের উপর এই সংক্রমণের কোনও দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব রয়েছে কি না তা দেখার জন্য এখনও বিস্তর গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, Pregnant