#অযোধ্যা: ইতিহাসের এক অধ্যায়ের শেষে আরেক অধ্যায়ের সূচনা ৷ দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান, অযোধ্যায় শুভ মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে ও আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত সহ একাধিক বিজেপি নেতার উপস্থিতিতে হল রামমন্দিরে ভূমি পুজো এবং ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ৷ একইসঙ্গে তৈরি হল একের পর এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত ৷
রামমন্দিরের প্রতিষ্ঠার পুজো উপলক্ষে অযোধ্যায় পা রাখার সঙ্গে সঙ্গেই ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ স্বাধীনতার পর থেকে রাম জন্মভূমিতে প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী পা পড়ল ৷ তবে মোদির আগে ইন্দিরা গান্ধি, রাজীব গান্ধি এমনকি অটল বিহার বাজপেয়ী নিজের প্রধানমন্ত্রীত্বে অযোধ্যা এসেছিলেন, তবে এদের মধ্যে কেউই রামজন্মভূমি বলে প্রসিদ্ধ এই স্থানে আসেননি ৷
একইসঙ্গে আরেক এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের জন্ম হল যখন মন্দিরের শিলান্যাসের পুজোতে পাশাপাশি বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত ৷ পুজোর মধ্যমণি মোদি হলেও তাঁর বাঁপাশেই ছিলেন মোহন ভাগবত ৷ এই প্রথম কোনও সর্বজনীন মঞ্চে এক ফ্রেমে ধরা দিলেন নরেন্দ্র মোদি ও মোহন ভাগবত ৷
রামমন্দির আন্দোলনের অন্যতম প্রধান সারথী ছিলেন লালকৃষ্ণ আডবাণী। রামমন্দিরের শিলান্যাসের দিনে অযোধ্যায় নেই লালকৃষ্ণ আডবাণী, আছেন শুধুই নমো। কিন্তু মোদির পাশে দাঁড়িয়েই বক্তৃতা মঞ্চে মোহন ভাগবতের ভাষণে উঠে এল আডবাণীর অবদানের কথা ৷ আরএসএস প্রধান এদিন বলেন, ‘আমাদের তৎকালীন সংঘপ্রধান আমাদের বলেছিলেন এই কাজ করতে ২০-৩০ বছর লাগবে। তাই লাগল। ২৯ বছরের পরিশ্রমের ফল এই রামমন্দির। এই ঘটনায় অনেকেই সেই সময় অনেক বড় বলিদান দিয়েছে, যা ভোলার নয় ৷ প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে লড়েছে যারা, তাঁরা সবাই আজ এখানে সশরীরে উপস্থিত নেই। কিন্তু তাঁরা আমাদের সঙ্গেই রয়েছেন। যেমন আডবাণীজি ঘরে বসে এই অনুষ্ঠান দেখছেন। এমন পরিস্থিতি আজ যে ইচ্ছে থাকলেও অনেককে ডাকা যায়নি।’ এখানেই শেষ নয়, রামমন্দির প্রতিষ্ঠার মুহূর্তের সাক্ষী হয়ে আবেগী মোহন ভাগবত বলেন,‘আজ আনন্দক্ষণ। আজ অনেক অনেক অনেক আনন্দের দিন। এই মুহূর্ত ঐতিহাসিক।’
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Ram Mandir