ন#নয়াদিল্লি: দিল্লি-হরিয়ানার সীমান্তে লাগাতার কৃষকদের যে বিক্ষোভ চলছে, সোমবার সেই বিক্ষোভের পরিদর্শনে গেলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। টানা ১২ দিন ধরে কৃষক সংগঠনগুলি তাঁদের বিক্ষোভ জারি রেখেছে কেন্দ্র সরকারের আনা ৩ টি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে। দিল্লি সরকারের তরফ থেকে কৃষকদের জন্য সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতেই সোমবার সিংঘু বর্ডারে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী।
কেজরিওয়াল-ই দিল্লির প্রথম এমন মুখ্যমন্ত্রী, যিনি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে চলা বিক্ষোভের পরিদর্শনে গেলেন। তিনি বলেন, “কৃষকদের সব রকম দাবিকে আমি সমর্থন করি। ওঁদের এই বিক্ষোভের পিছনে যথেষ্ট কারণ রয়েছে। আমি এবং আমাদের দলের নেতারা প্রথম থেকেই কৃষক নেতাদের পাশে আছি। আন্দোলনের শুরুতে দিল্লি পুলিশের তরফে, ৯টি স্টেডিয়ামকে জেলে রূপান্তরিত করার জন্য আমাদের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু চাপের মুখেও আমি অনুমতি দিইনি।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের দলীয় নেতারা এবং আইনসভার সদস্যরা প্রথম থেকেই আন্দোলনকারীদের জন্য স্বেচ্ছাসেবক হয়ে কাজ করছেন। আমিও এখানে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আসিনি, বরং স্বেচ্ছাসেবক হিসেবেই এসেছি। কৃষকরা খুব বড় সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে এবং আমাদের উচিৎ তাঁদের পাশে দাঁড়ানো। আগামী ৮ ডিসেম্বরের ভারত বনধ-কে আমরা সমর্থন করি।”বিতর্কিত কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের এই আন্দোলন এবং আইন প্রত্যাহারের দাবিতে তাঁদের ডাকা এই ধর্মঘটকে কেজরিওয়াল ছাড়াও আরও অনেক বিরোধী দলের নেতারা সমর্থন করেছেন।
গত ১২ দিন ধরে পঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকেরা দিল্লির সিঙ্ঘু এবং টিকরি সীমানায় শান্তিপূর্ণ ভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁদের বিক্ষোভ। অন্যদিকে গাজিপুর সীমানায়, উত্তর প্রদেশের প্রচুর কৃষক আন্দোলনে যোগ দেওয়ায়, সেখানে আন্দোলনকারী কৃষকের সংখ্যা ক্রমে বেড়েই চলেছে। কৃষকরা কেন্দ্রের সঙ্গে ষষ্ঠ দফার বৈঠকে বসতে চলেছেন আগামী বুধবার। কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর দাবি করেছেন, আগামী সপ্তাহের বৈঠকে তাঁরা কৃষকদের দাবির কথা মাথায় রেখে সম্পূর্ণ নতুন প্রস্তাব পেশ করবেন।
Written By : Antara Dey