#নয়াদিল্লি: উত্তরে চিন, পশ্চিমে পাকিস্তান। দুই প্রতিবেশী শত্রু দেশ প্রতিদিন নতুন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছে ভারতের দিকে। লাদাখ নিয়ে দুই বাহিনীর মধ্যে আলোচনা ছাড়াও ভারত এবং চিনের মধ্যে কূটনৈতিক কথাবার্তা হয়েছে একাধিকবার। কিন্তু নিট ফল শূন্য।
সেনা সরানোর নাম নেই পিএলএ -র। শীত পড়ে গেলেও অবস্থার পরিবর্তন ঘটেনি। অন্যদিকে পাকিস্তান জঙ্গি অনুপ্রবেশ ঘটানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন। নিয়ম ভেঙে রকেট এবং মর্টার হামলাও চলে প্রায় নিয়মিত। দুই দেশ মিলে ভারতের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করছে সেই আন্দাজ আগে থেকেই রয়েছে ভারতীয় বাহিনীর।
দেশের সেনা প্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে তিন দিনের জন্য দক্ষিণ কোরিয়া সফরে গেলেন। সেনার তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে এই খবর জানানো হয়েছে। সিওলে সেনাবাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের কর্তাদের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি কূটনৈতিক স্তরেও আলোচনা করতে পারেন ভারতীয় সেনাপ্রধান। এছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন নারাভানে। পাশাপাশি কোরিয়ান সেনার কমব্যাট ট্রেনিং স্কুল পরিদর্শন করবেন তিনি। কয়েকদিন আগেই সৌদি আরব থেকে ঘুরে এসেছিলেন তিনি। তার আগে আমিরাত, মায়ানমার এবং নেপালেও গিয়েছিলেন সেনাপ্রধান। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও তাঁর এই সফর বিভিন্ন কারণে গুরুত্বপূর্ণ।
General MM Naravane #COAS interacted with Mr Gang Eun Ho #Minister of #DAPA #RepublicofKorea and exchanged views on defence cooperation.#Friendship #IndianArmy pic.twitter.com/df98ZPNfR4
— ADG PI - INDIAN ARMY (@adgpi) December 28, 2020
প্রথমত চিনের বিরুদ্ধে এশিয়ায় যেসব দেশ কথা বলার সাহস রাখে তাদের মধ্যে অন্যতম দক্ষিণ কোরিয়া। এই মুহূর্তে আমেরিকার সঙ্গে সামরিক বোঝাপড়া দারুণ জায়গায় ভারতের। দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গেও আমেরিকার সামরিক সম্পর্ক বহু পুরনো। তাছাড়া ভারতের সেনাবাহিনীর জন্য বিশেষ ধরণের তোপ তৈরি করেছে দক্ষিণ কোরীয় একটি সংস্থা। পুনেতে ভারতের একটি সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে কাজ চলছে। কে নাইন বজ্র নামক ওই তোপ প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে নির্ভুলভাবে।
এই মুহূর্তে ভারতের হাতে এই অস্ত্র বেশ কিছু সংখ্যায় রয়েছে। তবে শোনা যাচ্ছে কিছু আপগ্রেড চেয়েছে ভারত। মূলত মরুভূমিতে যুদ্ধ করার ক্ষমতা থাকলেও প্রয়োজনে সমতলেও ব্যবহার করা যায় বজ্র। সূত্রের খবর এই বজ্রের উন্নত সংস্করণ আরও কিছু সংখ্যায় চাইছে ভারত। পাশাপাশি বিহো নামক অ্যান্টি এয়ারক্রাফট ডিফেন্স সিস্টেম বানাতে অন্য একটি কোরিয়ান সংস্থাকে দায়িত্ব দিয়েছে ভারত। তাছাড়া জানুয়ারির মাঝামাঝি রাশিয়ার এস ৪০০ মিসাইল সিস্টেম ভারতের হাতে এসে যাওয়ার কথা।