হোম /খবর /দেশ /
দাবির ৩০ লক্ষ না পেয়ে বাবার অন্ত্যেষ্টিতে নেই ছেলে, শেষকৃত্য সম্পন্ন করলেন মেয়ে

Inhumanity : দাবিমতো ৩০ লক্ষ টাকা না পেয়ে বৃদ্ধ বাবার অন্ত্যেষ্টিতে অনুপস্থিত ছেলে, শেষকৃত্য সম্পন্ন করলেন মেয়ে

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

Inhumanity : শর্ত ছিল, দিতে হবে ৩০ লক্ষ টাকা৷ তবেই তিনি সম্পন্ন করবেন অন্ত্যেষ্টি৷ শেষে বৃদ্ধের মুখাগ্নি এবং অন্যান্য অন্ত্যেষ্টি পর্ব মেটালেন তাঁর কন্যাই

  • Share this:

বিশাখাপত্তনম : দুই সন্তানকে রেখে পরিণত বয়সেই প্রয়াত হন গিঞ্জুপল্লী কোটাইয়াহ৷ অন্ধ্রপ্রদেশের এনটিআর জেলায় অনিগন্ডলাপাড়ু গ্রামের এই বাসিন্দা সম্প্রতি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন ৮০ বছর বয়সে৷ সমস্যা বাঁধল তাঁর শেষকৃত্য নিয়ে৷ বাবার অন্ত্যেষ্টি করবেন না বলে অনড় হয়ে রইলেন তাঁর ছেলে৷ শর্ত ছিল, দিতে হবে ৩০ লক্ষ টাকা৷ তবেই তিনি সম্পন্ন করবেন অন্ত্যেষ্টি৷ শেষে বৃদ্ধের মুখাগ্নি এবং অন্যান্য অন্ত্যেষ্টি পর্ব মেটালেন তাঁর কন্যাই৷

জানা গিয়েছে জীবিত অবস্থায় ছেলের সঙ্গে প্রায়ই সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ হত বৃদ্ধের৷ মৃত্যুর আগে জমি বিক্রি করে তিনি ১ কোটি টাকা পেয়েছিলেন৷ তার থেকে ৭০ লক্ষ ছেলেকে দেন৷ বাকি ৩০ লক্ষ টাকা রেখেছিলেন নিজের কাছে৷ এতেই আপত্তি ছেলের৷ অভিযোগ, ওই বাকি ৩০ লাখ টাকার জন্য প্রায়ই বাবার সঙ্গে ঝগড়া হত তাঁর৷ অভিযোগ, টাকার দাবিতে তিনি হেনস্থা করতেন বাবাকে৷ গায়েও নাকি হাত তুলেছিলেন৷ টাকা না পেয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেন বাবাকে৷

আরও পড়ুন :  ১ কেজি পেঁয়াজ ৮-৯ টাকা! কোথায় এই জলের দর, জেনে নিন

প্রতিবেশীদের দাবি, ছেলের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে কিছু দিন আগে বৃদ্ধ গিঞ্জুপল্লী ও তাঁর স্ত্রী চলে যান মেয়ে বিজয়লক্ষ্মীর বাড়িতে৷ সেখানেই থাকছিলেন৷ বৃদ্ধের শেষ সময়ে তাঁর ছেলে খোঁজখবর নেননি বলেই অভিযোগ৷ মৃত্যুশয্যায় তাঁর দেখাশোনা ও সেবা করেছেন মেয়েই৷ বার্ধক্যজনিত কারণে অশীতিপর গিঞ্জুপল্লী প্রয়াত হন গত শুক্রবার৷ তাঁর মৃত্যুসংবাদ পৌঁছয় ছেলের কাছে৷ কিন্তু তিনি শেষকৃত্য করতে অস্বীকার করেন৷

আরও পড়ুন :  স্কুলের দরজা খোলা থেকে মিড ডে মিলের দেখভাল, অবসরের পরও রোজ বিনা পারিশ্রমিকে পড়াতে আসেন এই শিক্ষক

গিঞ্জুপল্লীর ছেলে সাফ জানিয়ে দেন, ওই ৩০ লাখ টাকা না পেলে তিনি সৎকার করবেন না দেহ৷ এমনকি, শেষ বারের জন্য দেখতেও যাননি বাবাকে৷ শেষ পর্যন্ত কন্যা বিজয়লক্ষ্মীই বাধ্য হয়ে পালন করেন সন্তানের দায়িত্ব৷

Published by:Arpita Roy Chowdhury
First published:

Tags: Andhra Pradesh