#কলকাতা: দু'দিনের বাংলা সফরে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের তীব্র সমালোচনা করেই দিল্লিতে ফিরে যান অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি ছিল, স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে শিক্ষা, কৃষি ও শিল্প, সব বিভাগেই আজ তলানিতে বাংলা। শাহ একটি তালিকা নিয়ে এসে পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানিয়েছিলেন যে, বাংলার হাল বেহাল৷ মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলা ক্রমেই পিছিয়ে পড়েছে৷
এবার শাহকে পাল্টা উত্তর দিল তৃণমূল কংগ্রেস৷ মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনের শেষে মমতা জানান যে, ভুল তথ্য দেওয়ার জন্য শাহ-র উচিত তাঁকে ট্রিট দেওয়া৷ মমতা বলেন, "অমিত শাহ-র উচিত আমায় খাওয়ানো৷ আমি গুজরাটি খাবার খেতে ভালোইবাসি৷ ধোকলা হলেও চলবে৷ আরও একটা গুজরাটি খাবার রয়েছে৷ ওটাও ভালো লাগে আমার৷ নামটা খেয়াল আসছে না৷ দীনেশদা মাঝে মাঝে ওটা খাওয়ান আমায়৷
মমতা এদিন শাহ-কে লক্ষ্য করে বলেন, "অমিত শাহ এমন ভাবে বললেন যেন বাংলা দুঃস্বপ্নের ভূমি হয়ে গিয়েছে। বাংলাকে এমন একটি রাজ্যে হিসেবে তুলে ধরেছেন যেন, বাংলা খারাপ কাজ করছে! অনুন্নত একটা জায়গা৷ যেখানে কোনও চাকরি নেই৷ আপনি কি ১১ বছর আগের বাংলা দেখেছিলেন? তাহলে আপনি কীভাবে তুলনা করতে পারেন? সত্য নিয়ে আমার কোনও আপত্তি নেই৷ তবে এই সমালোচনার কোনও সত্যতা নেই৷ আমি চ্যালেঞ্জ জানাব৷"
শাহের মন্তব্যে প্রেক্ষিতে মমতা জাতীয় অপরাধের তথ্য তুলে ধরে জানিয়েছেন যে, তৃণমূলের শাসনে গত দশ বছরে রাজনৈতিক হত্যা কমেছে। মমতা আরও বলছেন, "দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যখন কিছু বলেন, তখন ধরে নিতে হবে তাঁর বক্তব্য তথ্য এবং পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করেই। সমস্ত উন্নয়ন সূচকে বাংলা অন্য রাজ্যের চেয়ে এগিয়ে। তবে অমিত শাহজি ইচ্ছাকৃতভাবে রাজ্যের একটি হতাশাজনক এবং বিরক্তিকর চিত্র তুলে ধরেছেন৷ আমি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আমার উত্তরটা দিলাম এখানে৷" মমতা বিজেপি নেতাদের বিঁধতেও ছাড়েননি৷ তাঁর সংযোজন, "বিজেপি নেতারা যখন অন্যের দিকে আঙুল তুলছে তখন তাঁদের গিয়ে উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার বিরুদ্ধেও কথা বলা উচিত৷