#এলাহাবাদ: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA)-এর বিরুদ্ধে মন্তব্যের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে৷ জাতীয় নিরপত্তা আইনে মামলা হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে৷ আজ অর্থাত্ মঙ্গলবার সেই বিশিষ্ট চিকিত্সক কাফিল খালনে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট৷ জাতীয় নিরাপত্তা আইনে মামলাও খারিজ করে দিয়েছে উচ্চ আদালত৷
গত বছর ১০ ডিসেম্বর আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সিএএ বিরোধী মন্তব্যের অভিযোগে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে কাফিল খানকে গ্রেফতার করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ৷ ১৩ ফেব্রুয়ারির তাঁর বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়৷
জাতীয় নিরাপত্তা আইনে গত ১৬ অগাস্ট কাফিল খানকে আটক করে রাখার মেয়াদ আরও ৩ মাস বাড়িয়ে দেওয়া হয়৷ ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বা NSA-এর আওতায়, যদি রাষ্ট্র মনে করে কোনও ব্যক্তি জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক, তা হলে তাকে ১২ মাস পর্যন্ত কোনও চার্জ ছাড়াই আটক করে রাখতে পারে৷
কাফিল খানকে আইপিসি ধারা ১৫৩ (এ)-তে গ্রেফতার করা হয়৷ অর্থাত্ ধর্মীয় ভিত্তিতে দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা তৈরির চেষ্টা৷ এই ধারাতেই কাফিল খানের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছিল৷ পরে ১৫৩ বি, ৫০৫ (২) ধারা চাপানো হয়৷
ডাক্তার কাফিল খান আপাতত মথুরা জেলে রয়েছেন৷ তিনি প্রথম খবরের শিরোনামে আসেন ২০১৭ সালে৷ গোরক্ষপুরে বিআরডি মেডিক্যাল কলেজে যখন একের পর এক শিশু মৃত্যু হচ্ছে৷ ওই হাসপাতালে তখন কাফিল খান শিশু চিকিত্সক৷ নিজের পকেট থেকে টাকা দিয়ে অক্সিজেন সিলিন্ডার কিনে এনে বহু শিশুর প্রাণ বাঁচিয়ে সকলের চোখের মণি হয়ে উঠেছিলেন হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ কাফিল খান। রোগীদের পরিজন থেকে জাতীয় সংবাদমাধ্যম—তাঁর ভূমিকার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন সকলেই। অক্সিজেনের অভাবে ৩০ শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় দোষীদের কঠোরতম সাজার আশ্বাস দেওয়ার পরেই সেই কাফিল খানকে রাতারাতি বাবা রাঘবদাস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এনসেফ্যালাইটিস ওয়ার্ডের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয় যোগী আদিত্যনাথ সরকার। তাঁর বিরুদ্ধে প্রাইভেট প্র্যাকটিসের অভিযোগও আনা হয়েছিল।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Kafeel Khan