#নয়াদিল্লি: ঠিক যে মুহূর্তে সকলে ভেবে নিয়েছিলেন যে, এবার হয়তো ছাড় পাওয়া গেল করোনা ভাইরাসের হাত থেকে, ঠিক তখনই নতুন স্ট্রেইন চিন্তা বাড়িয়েছে। আর এই নতুন স্ট্রেইন নাকি আরও বেশি ভয়ঙ্কর, আরও বেশি সংক্রামক। জানাচ্ছেন এইমস-এর প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া। মহারাষ্ট্রের অমরাবতী ও আকোলায় এই নতুন স্ট্রেইনের উপস্থিতি মিলেছে।
তিনি জানাচ্ছেন নতুন স্ট্রেইনের ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বিশেষ ধোপে টিকবে না। কারণ দেশের মোট জনসংখ্যার ৮০ শতাংশের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়া জরুরি এই ভাইরাসের সঙ্গে লড়ার জন্য। এই নতুন স্ট্রেনটি আগেরটির তুলনায় ভয়ঙ্কর ও সংক্রামক বলেই জানাচ্ছেন তিনি। এমনকি যাঁদের শরীরে আগে আক্রান্ত হওয়ার পরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছিল, তাঁদের পুনরায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
শুধু দ্রুত সংক্রমণ হওয়াই নয়। এই নতুন স্ট্রেইন শরীরে ঢুকলেও বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন। এমনকি শরীরে অ্যান্টিবডি থাকলেও সংক্রমণ রুখতে পারবে না। এমনকি নতুন স্ট্রেইনের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন কতটা কার্যকরী হবে তাও এখন প্রশ্নের মুখে। কারণ ভাইরাস চরিত্র বদল করলে সেই প্রতিষেধক কতটা কাজে লাগবে তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন থাকেই। তাই ভ্যাকসিন নিলেও সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
কিন্তু তবুও ভ্যাকসিন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন। ভ্যাকসিন নিলে সংক্রমণ আটকানো না গেলেও প্রভাব ততটা ক্ষতিকারক হবে না। জানিয়েছেন রণদীপ গুলেরিয়া। তবে এই স্ট্রেইনের নতুন চরিত্রের সঙ্গে ভ্যাকসিনের সামঞ্জস্য তৈরি করা যায় কিনা সেই ব্যাপারে খেয়াল রাখতে নিয়মিত ডেটা সংগ্রহ করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।