হোম /খবর /দেশ /
আসছেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি! জি-২০ সম্মেলনের জন্য সেজে উঠেছে আগরতলা

আসছেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি! জি-২০ সম্মেলনের জন্য সেজে উঠেছে আগরতলা

জি-২০ সম্মেলনের জন্য সেজে উঠেছে আগরতলা

জি-২০ সম্মেলনের জন্য সেজে উঠেছে আগরতলা

রক্তদান সম্পর্কে ফের সচেতন করলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। 

  • Share this:

আগরতলা: জি-২০ সম্মেলনের জন্য সেজে উঠেছে আগরতলা৷ মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা জানান, জি - ২০ সম্মেলন উপলক্ষে বিভিন্ন দেশ থেকে ৭০ থেকে ৭৫ জনের প্রতিনিধি দল আসছে রাজ্যে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, চিন, আমেরিকা, ব্রাজিল, জাপান ইত্যাদি রাষ্ট্র থেকে প্রতিনিধিরা আসবেন। হাঁপানিয়া, নীরমহল, অক্সিজেন পার্ক সহ বিভিন্ন জায়গায় যাবেন তাঁরা। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সামনে রাজ্যের কৃষ্টি, সংস্কৃতি তুলে ধরা হবে। শনিবার বাধারঘাট বিধানসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক তথা জননেতা প্রয়াত দিলীপ সরকারের চতুর্থ প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত স্বেচ্ছা রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।

তাঁর কথায়, 'প্রয়াত জননেতা দিলীপ সরকারের চিন্তাভাবনা, নীতি আদর্শ ও মানুষকে নিয়ে চলার প্রয়াসকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তাঁর অসমাপ্ত কাজগুলিকে বাস্তবায়ন করতে হবে। তিনি যেভাবে মানুষের আপদে বিপদে নিজের সর্বস্ব দিয়ে পাশে দাঁড়াতেন সেই ধারাকে অক্ষুন্ন রাখতে হবে। তবেই প্রয়াত জননেতার প্রতি সত্যিকারের শ্রদ্ধা অর্পণ করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'এই সরকার প্রকৃত অর্থে মানুষের সরকার। সকলের জন্য এই সরকার কাজ করতে চায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মার্গদর্শনে স্বচ্ছতা নিয়ে জন কল্যাণে কাজ করতে চায় সরকার।'

প্রয়াত জননেতার স্মরণে আয়োজিত এই সামাজিক কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, ডেপুটি মেয়র মনিকা দাস দত্ত, বিধায়ক সুরজিত দত্ত, প্রয়াত দিলীপ সরকারের বোন বিধায়ক মীনা রাণী সরকার, দাদা রাজকুমার সরকার, বিধায়ক অন্তরা দেব সরকার, সদর আরবানের জেলা সভাপতি অসীম ভট্টাচার্য, ভারতীয় জনতা পার্টির মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী প্রমুখ। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা প্রয়াত জননেতা দিলীপ সরকারের সঙ্গে তাঁর একাধিক সাক্ষাৎ পর্বের স্মৃতিচারণ করেন।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'সদর আরবানের পৃষ্ঠাপ্রমুখের দায়িত্বে থাকার সময় প্রায়ই এবিষয়ে দিলীপ বাবুর সঙ্গে কথা হতো। যখনই কথা হতো খুব ভালোভাবে কথা বলতেন। বাধারঘাট বলতেই যে মানুষটির কথা বলতে হয় তিনি দিলীপ সরকার। তাঁকে বাদ দিয়ে বাধারঘাটের কোন বিষয় ভাবা যায় না। নিজের জমি বিক্রি করে মানুষকে সহায়তা করেছিলেন তিনি। তাই তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেলেও তাঁর শূন্যস্থান পূরণ হওয়ার নয়। তবে তাঁর পরিবার থেকে মানুষের হয়ে কথা বলার জন্য একজন জনপ্রতিনিধিকে বিধানসভায় নির্বাচিত করে পাঠিয়েছে বাধারঘাট এলাকার জনসাধারণ।'

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, 'রক্তদানের উপরে কোন দান হয় না। নির্বাচনের প্রাক মুহূর্তে ব্লাড ব্যাংকগুলিতে রক্তের কিছুটা স্বল্পতা দেখা দিয়েছিল। এবিষয়টি নজরে আসার পরই স্বেচ্ছা রক্তদানের জন্য আহ্বান জানানো হয়। স্বেচ্ছা রক্তদান একটা সামাজিক কাজ। রক্তদান এমন একটা দান যার কোন ধর্ম বর্ণ, লিঙ্গ বা পার্টি নেই। একজনের রক্ত শুধু অন্যজনের জীবন রক্ষা করতে পারে। অতীতে কমিউনিস্টদের যে সরকার ছিল তাদের সাহায্য করার মানসিকতা ছিল না। তারা শুধু পার্টির লোক দেখে সাহায্য করতো। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মার্গদর্শনে এই সরকার প্রকৃত অর্থে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চায়। এই দিশাকে সামনে রেখে স্বচ্ছতার সঙ্গে মানুষের জন্য কাজ করছে এই সরকার।' মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই সরকারের অন্যতম লক্ষ্য 'এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা'  এবং নেশামুক্ত ত্রিপুরা গঠন করা। দীর্ঘ ৩৫ বছরে সমস্যা কম ছিল না। একদিনে সব সমস্যা নিরসন করা সম্ভব নয়। দীর্ঘ ৩৫ বছরে সারা রাজ্যে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করে গিয়েছে তারা। ধর্ম মানে না, ভগবান মানে না এবং ঈশ্বর মানে না তারা। গোটা রাজ্যেই নাস্তিক পরিবেশ কায়েম করে গিয়েছে তারা। তাই এসকল সমস্যা মানসিকভাবে উদ্যোগ নিয়ে আমাদেরই সমাধান করতে হবে। এদিন প্রয়াত জননেতার স্মরণে আয়োজিত রক্তদান অনুষ্ঠানে এলাকার ব্যাপক অংশের মানুষের উপস্থিতি ছিল নজরকাড়া।

Published by:Rachana Majumder
First published: