#গুজরাত: অনেক টালবাহানার পর অবশেষে মানুষের হাতে এসেছে করোনার ভ্যাকসিন। কিন্তু তাতেও কতটা স্বস্তি ফিরেছে? সত্যিই কি, হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে মানুষ? নাকি, ভয় বাড়ল আরও? প্রশ্ন থাকছেই। কারণ, করোনা ভ্যাকসিন শরীরে প্রয়োগ করার পরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর মিলেছে দেশের নানা প্রান্ত থেকে। মৃত্য়ুর খবরও মিলেছে। যদিও দেশীয় ভ্যাকসিন নিজে নিয়ে আমজনতার মন থেকে আতঙ্ক দূর করার চেষ্টা করেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াও ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে নানা মহল। এরই মধ্যে সামনে এল গুজরাতের একটি ঘটনা। এক স্বাস্থ্যকর্তা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পরও করোনায় আক্রান্ত হলেন। ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পরদিনই করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবরে স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্ন উঠেছে নানা মহলে।
গান্ধীনগরের দেগাম তালুকার বাসিন্দা ওই স্বাস্থ্যকর্তা গত ১৬ জানুয়ারি ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজটি নিয়েছিলেন আর ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখ নিয়েছিলেন দ্বিতীয় ডোজ। কিন্তু তারপর থেকেই ওই ব্যক্তি জ্বর আসতে শুরু করে। পরীক্ষা করে দেখা যায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ওই ব্যক্তি।
তবে, গান্ধীনগরের চিফ মেডিক্যাল অফিসার চিকিৎসক এমএইচ সোলাঙ্কি বলেন, 'ওই ব্যক্তি হোম আইসোলেশনে আছেন। সোমবার থেকেই তিনি কাজে যোগ দিতে পারবেন।' চিকিৎসকরাও জানাচ্ছেন, করোনার টিকা নেওয়া হলেও মাস্ক পরতে হবে অবশ্যই।
উল্লেখ্য, স্বাস্থ্যকর্মী ও ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারদের ভ্যাকসিন দেওয়ার মাধ্যমে প্রথম পর্যায়ে টিকাকরণের কাজ শুরু হয়েছিল। ভ্যাকসিন নেওয়ার ঠিক পরের দিন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মারা যান উত্তর প্রদেশের স্বাস্থ্যকর্মী মহীপাল সিং। মৃত্যুর আগে বুকে ব্যথা এবং শ্বাস আটকে যাওয়ার মতো কষ্ট হচ্ছিল তার। যদিও উত্তর প্রদেশ সরকারের দাবি করেছিল, করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার সাথে তাঁর মৃত্যুর সম্পর্ক নেই। তবে তাঁর পরিবার জানিয়েছিল, আগে থেকে অসুস্থ হলেও ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে তাঁর অবস্থা আরও খারাপ হয়। এরপরও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানা অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু এবার ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবরে বিতর্ক আরও বাড়ল বৈকি।