#উত্তরপ্রদেশ: বাংলায় চলছে বিধানসভা নির্বাচন। বিজেপির তাবড় নেতারা এসে 'সোনার বাংলা' গড়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। আসছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও। কিন্তু তাঁর রাজ্যেও পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে কম উত্তেজনা তৈরি হচ্ছে না। আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল যোগীরাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর সেই নির্বাচন জিততেও প্রার্থীরা নানা অভিনব পথ নিয়েছেন। কোথাও রসোগোল্লা লাড্ডু বিতরণ করা হচ্ছে ভোটারদের মধ্যে, আর এবার সিঙারা-জিলিপি দিয়ে ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা করলেন এক প্রার্থী।
আগের ঘটনাটি ঘটেছিল উত্তরপ্রদেশের আমরোহায়। আর এবারের ঘটনা উন্নাওয়ে। সেখানকার হাসানগঞ্জ পঞ্চায়েত প্রধানের পদে জেতার জন্য ২ কুইন্টালের বেশি জিলিপি ও সিঙারার আয়োজন করা হয়। ওই কেন্দ্রের প্রার্থীর ইচ্ছে ছিল, ভোটারদের সিঙারা-জিলিপি খাইয়ে ভোটের বাক্সে জয়লাভ করা। ১০ জন মিলে গ্রামবাসীদের মধ্যে সেই সিঙারা-জিলিপি বিলোচ্ছিলেন।
যদিও সেই কাজ সম্পূর্ণ করা হয়ে ওঠেনি। কারণ প্রার্থীর ওই কাণ্ডের কথা চাউড় হতেই আদর্শ আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে প্রার্থী-সহ ১০ জনকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। এমনকী করোনা মহামারীর সময় এই ধরনের খাবার বিলি করায় তাঁদের সকলের বিরুদ্ধেই মহামারী আইনেও মামলা করা হয়েছে। যদিও এই ঘটনা একেবারেই নতুন নয় যোগীরাজ্যে। গত সপ্তাহেই আমরোহায় সোহনবীর নামের এক পঞ্চায়েত প্রধান পদপ্রার্থীর কাছ থেকে ১০০ কেজি রসোগোল্লা পাওয়া যায়। তিনিও ভোটারদের মন পেতেই এই পথ বেছে নিয়েছিলেন। আবার বাগপতে মহম্মদ জব্বর নামের এক প্রার্থী ভোট পেতে লাড্ডুও বিতরণের পরিকল্পনা করেন। কিন্তু লাড্ডু তৈরির ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই তাঁকে ও আরও আটজনকে গ্রেফতার করে।
অপরদিকে, উত্তরপ্রদেশের উন্নাওতে চাকরি চাইতে যাওয়া এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করেছিলেন বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গার। ওই ধর্ষণকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পাশাপাশি নির্যাতিতার বাবার রহস্য মৃত্যুর ঘটনাতেও যুক্ত থাকায় ২০২০ সালে কুলদীপকে ফের দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। কিন্তু এবারের নির্বাচনে তাঁর স্ত্রীকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। কিন্তু চারিদিকে বিষয়টি নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠতেই প্রার্থীপদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দিল বিজেপি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।