#হায়দরাবাদ: এই তো দিনকয়েক আগের কথা। স্পাইনাল মাসকুলার এট্রোফি (Spinal Muscular Atrophy) নামের বিরল রোগে আক্রান্ত আয়াংশ গুপ্তাকে ১৬ কোটি টাকা দামের ইঞ্জেকশন দিয়ে প্রাণে বাঁচিয়েছিল তার বাবা-মা। সেই অর্থ অবশ্য এসেছিল গোটা বিশ্বের ৬৫ হাজার মানুষের থেকে। ক্রাউড ফ্রান্ডিংয়ে নজির গড়ে আয়াংশকে বিশ্বের সবথেকে দামী ওষুধ, যার দাম ১৬ কোটি টাকা, তা ব্যবস্থা করে দিয়েছিল সাধারণ মানুষ। আয়াংশের সেই ঘটনার রেশ মিটতে না মিটতেই এবার সেই হায়দরাবাদেই খোঁজ মিলল সানভি'র। আয়াংশের মতো সেও আক্রান্ত সেই স্পাইনাল মাসকুলার এট্রোফি-তে।
সানভির বয়স এখন চার। আর এই রোগে জীবনের আয়ু কমতে কমতে চার-পাঁচ বছর বয়সে এসেই ঠেকে। তাই ক্রমেই দিন ফুরিয়ে আসছে। তারও আয়াংশের মতোই প্রয়োজন সেই ১৬ কোটি টাকা মূল্যের ওই ইনজেকশনের। সানভির মা দোশিলি শিল্পা জানিয়েছেন, সানভি প্রায় সর্বক্ষণই অসুস্থ থাকে। তার ঘাড় ক্রমেই এক দিকে চলে যাচ্ছে। তার এখন হাঁটতে-দাঁড়াতেও প্রবল সমস্যা। রোগের কারণেই তাঁর মাথার নড়াচড়া ও স্বাভাবিক বেড়ে ওঠায় ঘাটতি থেকে গিয়েছে। বেশ কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ধরা পড়ে সানভি স্পাইনাল মাসকুলার এট্রোফি-তে আক্রান্ত।
আয়াংশ গুপ্তাকে দেওয়া হয়েছিল বিশ্বের সবচেয়ে দামি ওষুধ (Worlds Most Expensive Medicine) জোলগেনস্মা (Zolgensma) ৷ কেবলমাত্র আমেরিকাতেই বিক্রি হয় এই ওষুধ। শিরার মধ্যে প্রবেশ করাতে হয় এই ওষুধের একটি ডোজ ৷ সেই ওষুধই এখন প্রয়োজন হায়দরাবাদের কাচিগুদার বাসিন্দা সানভির। তার মা দোশিলি শিল্পার কথায়, 'আমরা ইতিমধ্যেই ১ লক্ষ টাকা খরচ করেছি। আমাদের সর্বোচ্চ সামর্থ্য আছে চার লক্ষ টাকা জোগাড় করার। কিন্তু ১৬ কোটি টাকা আমাদের ভাবনারও বাইরে। আমরা তাই ক্রাউড ফান্ডিংয়ের আবেদন জানাচ্ছি। সবাই সবার সামর্থ্য মতো যদি সাহায্য করেন, আমার মেয়েটা বেঁচে যেতে পারে।'
আয়াংশের মা রুপাল ও বাবা যোগেশও জানিয়েছিলেন, এত পরিমাণ টাকা জোগাড় করা সহজ ছিল না। তবে সাধারণ মানুষ তাঁদের সন্তানের চিকিৎসার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। ৬৫ হাজারেরও বেশি মানুষ আর্থিক সাহায্য করেছিলেন আয়াংশের চিকিৎসার জন্য। সেই কারণেই এত টাকা জোগাড় করা সম্ভব হয়েছে। আয়াংশের বাবা বলেছিলেন, ‘এই জয় সাধারণ মানুষের জয়। তারা এভাবে সাহায্য করে একজন বাচ্চার প্রাণ বাঁচাল। এটা একটা দৃষ্টান্ত। আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ।' অজয় দেবগণ, অনুষ্কা শর্মা, বিরাট কোহলি, অনিল কাপুর-সহ আরও অনেক তারকাও আয়াংশের দিকে সাহায্য়ের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। এবার পালা সানভির। আয়াংশের মতো সেও কি ফিরে পাবে নতুন জীবন, অপেক্ষা সময়ের।
সানভিকে সাহায্য করতে যোগাযোগ করুন তার মা দোশিলি শিল্পার সঙ্গে। ফোন নম্বর--9618779839
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।