#গুয়াহাটি: সদ্য পার হয়েছে নাগপঞ্চমীর উদযাপন। ধর্মীয় দিকটি বাদ দিলেও এই উৎসব আদতে বর্ষার মরশুমে সাপেদের প্রজাতির সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে নিবেদিত, যে কারণে সাপেদের ক্ষতি হয়, এমন কোনও কাজ করা বারণ! আর তার ঠিক পরেই কাকতালীয় ভাবে হলেও অসম থেকে আবিষ্কৃত হল সাপের সম্পূর্ণ এক নতুন প্রজাতি। জানা গিয়েছে যে বিগত ১০০ বছরে অসম থেকে এই প্রথম সাপের নতুন প্রজাতির দেখা মিলল।
পুরাণবিদরা বলেন যে বর্তমানে দেশের যে সব অঞ্চলকে আমরা অসম, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, অরুণাচল প্রদেশ নামে চিনি, অতীতে তাদেরই অভিহিত করা হয়েছিল নাগসম্প্রদায়ের বাসস্থান হিসাবে। ওয়াইল্ডলাইফ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার (Wildlife Institute of India) তরফে অভিজিৎ দাসও (Abhijit Das) তাঁর বিবৃতিতে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে বর্তমানে দেশে যে জীববৈচিত্র্য আবিষ্কৃত হয়, তার মধ্যে সিংহভাগেরই দেখা মেলে অরুণাচল প্রদেশের উত্তর-পূর্ব ভাগে এবং মিজোরামে। এখনও পর্যন্ত দেশের ওই অঞ্চলে বনভূমির বিস্তার বেশি, ফলে তা জীববৈচিত্র্যের আশ্রয়স্থল হিসাবে কাজ করে। তুলনামূলক ভাবে অসমে বনাঞ্চল কম হলেও নতুন এই প্রজাতির সাপের দেখা পাওয়ার পর আশার আলো দেখছেন প্রাণিবিদরা। স্পষ্টই জানিয়েছেন অভিজিৎ দাস- এই ঘটনা প্রমাণ করে দিয়েছে যে গুরুত্ব দিয়ে খুঁজলে অসম থেকে আরও অনেক নতুন প্রজাতির জীববৈচিত্র্যের সন্ধান মিলতে পারে।
জানা গিয়েছে যে জীববৈচিত্র্যের খোঁজে সম্প্রতি অসমে যে অভিযানটি চালানো হয়েছিল, তার দায়িত্বে ছিলেন ভারত, ইউনাইটেড স্টেটস এবং ইউনাইটেড কিংডমের প্রাণিবিদ তথা বিজ্ঞানীরা। যে নতুন প্রজাতির সাপটি আবিষ্কৃত হয়েছে, তার সম্পর্কে খুব বেশি কিছু তথ্য এখনও পর্যন্ত দিতে পারেননি তাঁরা। সাপ বলতেই যে কৌতূহলের উদ্রেক হয় সবার প্রথমে, সেই সূত্র ধরে নব আবিষ্কৃত জীবটি বিষধর না নির্বিষ, তারও সদুত্তর এখনও পর্যন্ত মেলেনি। তবে অভিজিৎ দাস জানিয়েছেন যে এই নতুন প্রজাতির সাপের ঘাড়ের পিছনে লাল রঙের গোল ছোপ আছে, অনেকটা সিঁদুরের টিপের মতো, যা সর্বভারতীয় স্তরে বিন্দি নামে পরিচিত। একথা মাথায় রেখেই সাপের নতুন এই প্রজাতির নাম রাখা হয়েছে র্যাবডোফিজ বিন্দি (Rhabdophis Bindi)।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।